রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
৭ নভেম্বর ২০২১ ২০:২৭
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস লিমিটেডের সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, কল-কারখানা অধিদফতর এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৭ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন, অনিক আর হক ও আইনজীবী শারমিন আক্তার শিউলী।
এর আগে, গত ১০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
মানবাধিকার এবং পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন চারটি সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহীনুজ্জামান শাহীন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সংগঠন চারটি হলো- আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি।
রিটে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি),রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ), নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি), রুপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), জেলা সিভিল সার্জন, ফায়ার সার্ভিস, হাসেম ফুডস লিমিটেড এবং হাসেম ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করা হয়।
রিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের প্রতি পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে এবং আহতদের ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ হিসাবে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ এবং আহতদের ৫ লাখ টাকা করে দিতে আবেদন করা হয়েছিল।
গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ সময়ের মধ্যে মারা যায় ৫২ জন। আহত হয়েছেন অনেক শ্রমিক।
এ ঘটনায় হত্যা ও হত্যার অভিযোগে ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭ ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেমসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হাসেম, তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম, তানজীম ইব্রাহীম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, উপ মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ ও প্রকৌশলী মো. আলাউদ্দিন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও
ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ রূপগঞ্জ সেজান জুস কারখানা হাইকোর্ট