Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পারিবারিক আদালতের মামলায় ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ নয়: হাইকোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ নভেম্বর ২০২১ ২২:৪১

ঢাকা: পারিবারিক আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে অন্যকে ক্ষমতা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দেওয়া যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ‘পারিবারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করার ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৫ ধারার প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে না, যদিও পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশে দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ১০ ও ১১ ব্যতীত অন্য ধারার প্রয়োগকে বাতিল করা আছে’ মর্মে রায়ে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত এক রিভিশন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম খালেদ আহমেদ। বিবাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইদুল আলম খান। আর আদালতের বন্ধু (অ্যামিকাস কিউরি) হিসেবে ছিলেন চার জন। তারা হলেন-জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, আইনজীবী কামালুল আলম ও প্রবীর নিয়োগী।

রায়ের পর পরে আইনজীবী সাইদুল আলম খান সারাবাংলাকে বলেন, “এই মামলার বাদী একজন নারী। তিনি আমেরিকা প্রবাসী তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে দেনমোহর ও সন্তানের ভরনপোষণের দাবিতে মামলা করেন। সে মামলায় বিবাদী তার পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে এক আত্মীয়কে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ (অন্যকে মামলা পরিচালনার ক্ষমতা অর্পন) করেন। কিন্তু ‘ফ্যামেলি কোর্ট অর্ডিন্যান্স-১৯৮৫’ অনুযায়ী পারিবারিক মামলায় ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ অর্পনের বিধান নেই বলে সিলেটের পারিবারিক আদালত এই মামলার বিবাদীর ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ গ্রহণ করেনি। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিবাদী আপিল করলে সিলেটের জেলা জজ আদালতে সে আপিল খারিজ হয়। পরে বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে আমেরিকা প্রবাসী ওই বিবাদী।”

বিজ্ঞাপন

পরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই রিভিশন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চের শুনানিতে পারিবারিক আদালতের মামলায় দেওয়ানী কার্যবিধির ১০ ও ১১ ধারার বাইরে অন্য কোন ধারা প্রযোজ্য হবে কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এক পর্যায়ে হাইকোর্ট রিভিশন আবেদনটি বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান। পরে প্রধান বিচারপতি তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।

ওই রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১ জানুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর বেঞ্চ চারজন আদালতের বন্ধু (অ্যামিকাস কিউরি) নিয়োগ দেন। তারা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, আইনজীবী কামালুল আলম ও প্রবীর নিয়োগী। এ বিষয়ে আদালতে অ্যামিকাস কিউরিরা তাদের অভিমত দেন।

পরে আজ তিন সদস্যের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রিভিশন আবেদনটি খারিজ করে রায় দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

পারিবারিক আদালত মামলা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর