সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির নতুন অভিযোগ
১৬ নভেম্বর ২০২১ ২৩:৫২
মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিচার হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, সু চিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক নির্বাচনি কর্মকর্তাদের হুমকি দেওয়াসহ নির্বাচনি প্রক্রিয়া, নির্বাচনে জালিয়াতি ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে। এ ১৬ জনের অনেকেই দেশটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার।
এদিন সু চিকে নেইপিডোর আদালতে হাজির করা হয়েছিল, সেখানে বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা উসকানির অভিযোগের রায় আগামী ৩০ নভেম্বর দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন বলে সূত্রের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের আগে আগে ভোরের দিকে চালানো এক অভিযানে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি এবং দুর্নীতির দুটিসহ মোট ১১টি মামলা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন সু চি।
তবে, সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে তার বিচার চলছে; এ বিচার সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার একমাত্র উৎস সু চির আইনজীবীর ওপর মামলা সংক্রান্ত কোনো কিছু আদালতের বাইরে বলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেনাশাসনের শেষ দুই দশকের অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সু চি। ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করা সামরিক জান্তা বলছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বিজয় কারচুপির ভোটের ভিত্তিতে হওয়ায় শাসনভার হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে তারা। তখনকার নির্বাচন কমিশন অবশ্য ভোটে অনিয়মের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল।
সারাবাংলা/একেএম