চাল ছেঁটে মিনিকেট নামে কারা বিক্রি করছে— জানতে চান হাইকোর্ট
২১ নভেম্বর ২০২১ ২২:১২
ঢাকা: দেশের অটো রাইস মিলে চাল কেটে বা ছেঁটে মিনিকেট, নাজিরশাইল চাল নামে যারা বিক্রি করছে, তাদের তালিকা হলফনামা আকারে চার মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরআরআই) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলকে (বিএআরসি) চাল কেটে বা ছেঁটে উৎপাদনের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কি না এবং খাদ্যের পুষ্টিমান ক্ষতি হয় কি না— এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ নভেম্বর) জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, বিভিন্ন অটো রাইস মিলে উৎপাদিত বিভিন্ন চাল কেটে বা ছেঁটে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বাজারজাত বা বিক্রি করাতে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে। রুলে তা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চাল কেটে বা ছেঁটে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বাজারজাত বা বিক্রি করা বন্ধে নির্দেশনা বা গাইডলাইন তৈরি করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেটিও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, খাদ্য সচিব, কৃষি সচিব, বাণিজ্য সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বিএসটিআই, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর