ফরিদপুরের সেই দুই ভাইসহ ১০ জনের চার্জ শুনানি ১২ ডিসেম্বর
৩০ নভেম্বর ২০২১ ১৮:২৩
ঢাকা: দুই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) মো. সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (বহিস্কৃত) ইমতিয়াজ হোসেন রুবেল সহোদরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধ আগামী ১২ ডিসেম্বর চার্জগঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের আদালত এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন শুনানিকালে বরকত ও রুবেল এবং ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভী ও শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার পলাতক আসামিদের মধ্যে আসামি ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদ বিন ওয়াজেদ শাহীন ওরফে ফাহিম ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার একটি মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় এদিন তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করা হয়। আদালত সে আবেদনের শুনানির জন্য আসামিকে ফরিদপুর কারাগার থেকে হাজির করার জন্য আদালত প্রডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন।
মামলার অপর আসামি সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফের হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (এপিএস) এএইচ এম ফুয়াদ, আওয়ামী নেতা কামরুল হাসান ডেবিট, মোহাম্মাদ আলী মিনার, তারিকুল ইসলাম ওরফে নাছিম পলাতক রয়েছে।
গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা চার্জশিট সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।
জানা গেছে, ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।
সারাবাংলা/এআই/এনএস