ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে দুর্নীতির মামলার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটি হিসাব-নিকাশ তথা কর্মচারীদের দেওনা-পাওনা। আইন অনুযায়ী এ ধরনের মামলা দেওয়ানি আদালতে হয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত অভিযোগ এনে অপরাধ আদালতে মামলা করে দুদক। অথচ পুরো পাওনা অর্থই শ্রমিকদের দিয়েছেন তিনি। এখানে কে কম বা বেশি পেয়েছেন; এ সামান্য আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে ক্রিমিনাল কোর্টে মামলা হতে পারে না।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) আপিল বিভাগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলা বাতিলের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আইনজীবী আসিফ বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সারাবিশ্বে সম্মানিত। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী। শতবর্ষে আর কোনো বাংলাদেশি নোবেল পাবেন কিনা জানা নেই।
এদিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। এর আগে, গত বছরের ২১ অক্টোবর আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে করে নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।