যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনানুষ্ঠানিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে চীনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে আসা উইঘুর ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়েছে, উইঘুরদের ওপর জাতিগত নিধন চালানোর মানসিকতা থেকেই চীন সরকার তাদের ওপর জন্ম নিয়ন্ত্রণ এবং খোঁজাকরণের মতো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে।
একে কৌশলগত গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, শিনজিয়াংয়ে যে ধরে ধরে উইঘুর মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে এমনটা নয়। তারা যেন বংশবিস্তার না করতে পারেন সে বিষয়টি নির্মমভাবে নিশ্চিত করছে চীনের পার্টি প্রশাসন।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব এই ঠাণ্ডা মাথার হত্যাযজ্ঞের মূল কুশীলব বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাইব্যুনাল সভাপতি প্রখ্যাত ব্রিটিশ ব্যারিস্টার স্যার জেফ্রি নাইস।
এদিকে লন্ডনের এই প্রতীকী ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠন করা হয়। যদিও এর কোনো আইনি শক্তি নেই, কেবল রায় ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবুও, এই রায়ের ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাজ্য-চীন সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাববার অবকাশ তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
অন্যদিকে, উইঘুর ট্রাইব্যুনালকে অতি উৎসাহী আখ্যা দিয়ে চীনের পক্ষ থেকে শিনজিয়াংয়ে সকল ধরনের গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। একইসঙ্গে, এই রায়কে চীনবিরোধীদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্র হিসেবেও দেখছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।