ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে ৩২ দিন পর আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার
১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:২২
মোংলা: মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজের নিখোঁজ ২ নাবিকের মধ্যে এক মাস ২ দিন পর লস্কর জিহাদ (২১) নামের এক নাবিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় কার্গোটি উদ্ধার কাজে জড়িতরা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লাশটি জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে মোট ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনও জাহাজের লস্কর হামিদ নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া লাশটি জাহাজের লস্কর জিহাদের। তিরি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের মঞ্জু মার্কেট এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে।
গত ১৫ নভেম্বর সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দরের একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজ এমভি ফারদিন-১। এসময় ওই কার্গোতে থাকা ৭ নাবিকের মধ্যে রিয়াজ ও রায়হান দুইজন সাতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও গ্রিজার ও সুকানিসহ ৫ জন নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পুথক দল দুর্ঘটনাস্থলে যান এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। পরের দিন বিকালে হারবাড়িয়া এলাকার কিছুটা দক্ষিণে লস্কর মইনউদ্দিন ও গ্রিজার নুর ইসলামের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল। ঘটনার ৫দিন পর গত ২১ নভেম্বর দুপুরে রবিউল নামের এক লস্করের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সময় থেকেই দুই জনের লাশ উদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়েই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
ভাই ভাই স্যালভেস কোম্পানির ডুবুরি দলের প্রধান আব্দুর সাত্তার জানান, ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ডুবন্ত কার্গোটি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ ও আমাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় উদ্ধার কাজ শুরু করি। ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ডুবন্ত জাহাজের ভিতরে আটকে থাকা জিহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কার্গোটি সম্পূর্ণ উদ্ধার করতে পারলে নিখোঁজ নাবিক হামিদের লাশও উদ্ধার কার সম্ভব হতে পারে।
সারাবাংলা/এমও