পর্যটক ধর্ষণের প্রধান আসামি আশিকুল মাদারীপুরে গ্রেফতার
২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:০২
ঢাকা: কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চার দিন পর প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক গ্রেফতার হয়েছেন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব-৮) তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করে।
র্যাব সদর দফতরের অপারেশনস কন্ট্রোল রুমের কর্তব্যরত কর্মকর্তা সার্জেন্ট হুমায়ুন সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আশিক কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি স্থানীয় এক জন চিহ্নিত আসামি। তার বিরুদ্ধে এর আগেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাসহ চুরি, ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা ও মাদকের ১৬টি মামলা রয়েছে।
এ নিয়ে এ মামলায় পাঁচ জন গ্রেফতার হলেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধারের সময় জিয়া গেস্ট ইন হোটেল থেকে র্যাব আটক করেছিল হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে। পরে রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ ধর্ষণকাণ্ডে সহযোগী আরও তিন জনকে আটক করেছে। তবে মামলার এজাহারভুক্ত বাকি দুই আসামি ইসরাফিল হুদা জয় ও মেহেদী হাসান বাবুকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন-
- পর্যটক ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার ৩
- কক্সবাজারে ধর্ষণ: হোটেল ম্যানেজার ৪ দিনের রিমান্ডে
- স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ধর্ষণ: ৪ জনের নামে মামলা
- কক্সবাজারে গৃহবধূ ধর্ষণ: জড়িতদের শনাক্ত করেছে র্যাব
- পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- পর্যটক ধর্ষণে গ্রেফতার ৩ জন সহযোগী, ধরা পড়েনি মূল আসামিরা
- স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ধর্ষণ: আরও ১৬ মামলার আসামি আশিকুল
গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই বার দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এক নারী। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫। এ ঘটনার পরদিন জড়িতদের শনাক্ত করে চার জনের নাম উল্লেখ করে আরও তিন জন অজ্ঞাতনামাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।
ওই নারীকে উদ্ধারের সময়ই জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করেছিল র্যাব। মামলা দায়েরের পর ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন। কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিমুন তাসনিমের আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, রোববার যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন— কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম সাহাবুদ্দীন (২৫), কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে মেহেদী হাসান (২১) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২৮)। এজাহারভুক্ত না হলেও মামলা তদন্ত গিয়ে তাদের সহযোগিতার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর