বিজ্ঞাপন

পর্যটক ধর্ষণে গ্রেফতার ৩ জন সহযোগী, ধরা পড়েনি মূল আসামিরা

December 26, 2021 | 4:19 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গ্রেফতার তিন জনই ধর্ষণকাণ্ডে সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন। তবে এ ঘটনার মূল হোতা ও মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয় ও মেহেদী হাসান বাবুকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে এই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় মোট চার জন গ্রেফতার হলেন। এর আগে রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেফতার করেছিল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব-১৫)। তিনি জিয়া ইন গেস্ট হাউজের ম্যানেজার ছিলেন।

রোববার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে তারা সচেষ্ট।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

রোববার গ্রেফতার তিন জন হলেন— কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম সাহাবুদ্দীন (২৫), কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে মেহেদী হাসান (২১) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২৮)।

ব্রিফিংয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে তিন জনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা ও এজাহারভুক্ত আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয় ও মেহেদী হাসান বাবুকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। গ্রেফতার আরেক আসামি হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মামলার প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ইয়াবা ও অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইসরাফিল হুদা জয়ের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন বলেন, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই বার দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এক নারী। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫। এ ঘটনার পরদিন জড়িতদের শনাক্ত করে চার জনের নাম উল্লেখ করে আরও তিন জন অজ্ঞাতনামাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।

ওই নারীকে উদ্ধারের সময়ই জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করেছিল র‌্যাব। মামলা দায়েরের পর ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন। কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিমুন তাসনিমের আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন