Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ভিন্ন মর্যাদার অবস্থানে: স্পিকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:৫৮

ঢাকা: বিশ্বে বাংলাদেশ এখন এক ভিন্ন মর্যাদার অবস্থানে অসীন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে ‍উত্তরণের স্বীকৃতি বাংলাদেশের উন্নয়নের এক অনন্য মাইলফলক। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই স্বীকৃতি যুক্ত করেছে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলে যে কটাক্ষ করা হতো সুবর্ণজয়ন্তী পালনের এই লগ্নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে এক ভিন্ন মর্যাদার অবস্থানে।’

রোববার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে ‍উত্তরণের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান হিসাবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, ‘জাতিসংঘের তিনটি মানদণ্ড পূরণ করে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ এই উত্তরণে সফল হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদশে পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের সার্বিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শুরু করেন। পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিতার দর্শনকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্থাপিত ভিত্তির ওপর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার কাজ করে চলেছেন। একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলে যে কটাক্ষ করা হতো সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই লগ্নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে এক ভিন্ন মর্যাদার অবস্থানে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সফলতার মূলে রয়েছে সরকারের ধারাবাহিকতা, জনগণের আস্থা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চা। কিন্তু সকল কিছুর ঊর্ধ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ সফলতার মূলে রয়েছে সাহসী, প্রাজ্ঞ, দূরদৃষ্টিসম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নেতৃত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের সব কিছুই ২০২১ সালের রূপকল্পের আলোকে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশলের বাস্তবায়ন ফলেই সম্ভব হয়েছে। ২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই এই সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের এই উত্তরণের ক্ষেত্রে একটি সোপান হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা আজ জনগণের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে। প্রায় ৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার, ইনকিউবেটর সেন্টার স্থাপন, হাইটেক পার্ক স্থাপিত হয়েছে। মেধানির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে কর্মসংস্থান তৈরিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবদান রাখছে। অসংখ্য চ্যালেঞ্জের উত্তরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

উন্নয়ন জাতিসংঘ টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর