এক বছরে দুর্ঘটনায় গেছে ৫ হাজার ৬৮৯ মানুষের প্রাণ
৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৩৪
ঢাকা: ২০২১ সালে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪ হাজার ৯৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এ সব দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৬৮৯ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৫ জন।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চিত্র-অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
সংগঠনের লিখিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ২০২১ সালটি করোনা মহামারির বছর হলেও এই সময়ে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এ সময়ে সড়কে যান চলাচল সীমিত ছিল। প্রায় ৬ মাস জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। কিন্তু এ বছর দূর্ঘটনা না কমে উল্টো আরও বেড়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে— ২০২১ সালে সারা দেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪ হাজার ৯৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৯ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৫ জন। নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৫০৭ জন এবং ১ হাজার ১৮২ নারী। আহতদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৫৩১ ও নারী ১ হাজার ২৭৪ জন।
এর মধ্যে কেবল সড়কপথে ঘটেছে ৩ হাজার ৭৯৩টি দুর্ঘটনা। যাতে নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ২৮৯ জন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৪ জন। রেলপথে ২৭০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৫৪ জন, আহত হয়েছেন ৪২ জন। নৌপথে ৯০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯৮ জন, নিখোঁজ হয়েছেন ১৮৬ জন ও আহত হয়েছেন ৩৩৯ জন।
এ ছাড়াও অপ্রকাশিত তথ্য ও হাসপাতালে ভর্তির পর এবং হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়ে ৯৪৮ জন মানুষ মারা গেছেন। এদের সবার মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এ সব দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।’
তিনি দুর্ঘটনা বাড়ার জন্য চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে আইনের প্রয়োগ না থাকা, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি ও মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটির মতো বিষয়গুলোকে প্রধান কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখ্য, দেশের ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া,অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচার শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটি সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
সারাবাংলা/টিএস/একে