ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীর মৃত্যু, পুলিশের দাবি আত্মহত্যা
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:০৬
রংপুর: রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রুহি আক্তার (১৯) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। রুহি আক্তার আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদের।
রোববার বিকেলে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ভেতর থেকে রুহি আক্তারের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়।
রুহি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ড থানার হরিয়ারঘাট গ্রামের সিকান্দার আলীর মেয়ে। তবে এখন পর্যন্ত রুহির স্বজনদের কেউই হাসপাতালে পৌঁছায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় জানা গেছে, রুহির সঙ্গে রংপুর নগরীর বাহারকাছনা রামগোবিন্দ মোড় এলাকার আকাশ নামে এক ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত শনিবার রুহি প্রেমিক আকাশের সঙ্গে দেখা করতে ওই এলাকায় আসে। কিন্তু আকাশের মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় ওই এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। সেদিন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কোতয়ালী থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে দিয়ে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে রুহি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, রুহি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। তারা এলে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও গত বছরের মার্চ মাসে মেয়েটি ঝিনাইদহ থেকে আকাশের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। সে সময় স্থানীয়রা তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পৌঁছে দেয়। পরে তার স্বজনদের ডেকে এনে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সারাবাংলা/একে