কার্টুনিস্ট কিশোর ও সামিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়নি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ ও করোনাভাইরাস নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে আল-জাজিরা টেলিভিশনে সরকারপ্রধান ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রধান চরিত্র সামিউল ইসলাম খান ওরফে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি এবং কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের বিরুদ্ধে সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়নি। অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি অভিযোগ গঠনের জন্য দিন নির্ধারণ করা ছিল।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন জানিয়েছেন, এদিন আসামি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের পক্ষে তার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ ঠিক করেন।

সামি ছাড়া অভিযোগপত্রের বাকি আসামিরা হলেন— কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার মো. দিদারুল ইসলাম, সুইডিশ-বাংলাদেশের সাংবাদিক নেত্র নিউজ সম্পাদিক তাসনীম খলিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্লগার আশিক মোহাম্মাদ ইমরান ও মো. ওয়াহিদুন্নবী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ গত বছরের ১০ মে এ চার্জশিট আদালতে জমা দেন।

চার্জশিট থেকে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তারা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, কার্টুনিস্ট কিশোর তার ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করতেন। মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিশোরের সেসব পোস্টের কয়েকটি শেয়ার করতেন। আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছে। এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৫ মে র‌্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, মোস্তাক আহমেদ, দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

কার্টুনিস্ট কিশোর তাসনিম খলিল সামিউল ইসলাম খান সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি