Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জেএসএস সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক সেনা সদস্য নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১১

বান্দরবান: বান্দরবান জেলাস্থ রুমা জোনের একটি টহল দলের সঙ্গে জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং একজন সৈনিক আহত হন।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়- জেএসএসপন্থি সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে আগমন করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি নিরাপত্তা টহল দল ওই এলাকায় যায়। রাত সাড়ে ১০ ঘটিকায় টহল দলটি বথিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত টহল দলের ওপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। সদা প্রস্তুত সেনা টহল দলটির দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সাহসী পাল্টা হামলায় জেএসএস মূল দলের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আলামত পাওয়া যায়।

এ সময় পলায়ণপর সন্ত্রাসীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। সৈনিক ফিরোজ নামে একজন সেনা সদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। নিহত এবং আহত সেনা সদস্যদেরকে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়।

অভিযানে সেনা টহল দল কর্তৃক সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১ টি এসএমজি, ২৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩টি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, ৩ টি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজিদের নগদ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা জব্দ করা হয়। বর্তমানে সেনা টহল দল উক্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি জারি রেখেছে এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

বিজ্ঞাপন

জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেনা সদস্যবৃন্দ নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর রয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান আঞ্চলিক দলসমূহ হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে যা পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর।

সারাবাংলা/একে

আইএসপিআর সেনাবাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর