‘এই মাসের শেষে খুলে দেওয়া হতে পারে স্কুল’
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:০৫
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালো হওয়ায় ‘দেশ সুস্থ আছে’ বলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ ক্ষেত্রে তিনিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, এ মাসের শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। এসময় তিনি সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পেছনে কর্মরত চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ চিকিৎসক-নার্সরা যে কাজ করেছে, তার ফল আজকে সারা বাংলাদেশ পাচ্ছে। কীভাবে এটা হচ্ছে— কারণ মনে সাহস চলে এসেছে। এই সাহস আমরা জুগিয়েছি। ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনাকালে আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, এখনো করে যাচ্ছেন। চিকিৎসক-নার্সসহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। শুধু তারা নিজেরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তারা এ ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সেবা দিয়েছেন, তাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় শ্রদ্ধা থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালেই আমরা ৪০ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছি। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলো আমরা সার্বক্ষণিকভাবে চালু রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হলেও মেডিকেল কলেজগুলোতে আমরা বন্ধ করিনি। করোনা চিকিৎসায় এক মাসে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করেছি, যেখানে ২৫০টি আইসিইউ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে, সব শেখ হাসিনার উদ্যোগে হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে যত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি, করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসায় সফলতা— সব তার নির্দেশনা আর সহযোগিতায় করতে সক্ষম হয়েছি।
শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নতুন সেবার উদ্বোধন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ (সোমবার) সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বেশ কয়েকটি নতুন সেবা আমরা উদ্বোধন করতে পেরেছি। অনেক চিকিৎসা দিয়েছে এ হাসপাতাল। ১ হাজার ৩৫০ বেডের এ হাসপাতালে দেড়শ করোনার শয্যা আছে। এখানে করোনার চিকিৎসাও হচ্ছে, পাশাপাশি নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমানসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
করোনা ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক