Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ষাটোর্ধ্ব সবার জন্য পেনশন চালু করতে আইন প্রণয়নের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:১৩

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে সার্বজনীন পেনশন বিষয়ক কৌশলপত্র উপস্থাপন করা হয়

ঢাকা: দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন এবং সার্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে একটি কর্তৃপক্ষ স্থাপনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে ‘সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। উপস্থাপনাটি দেখার পর প্রধানমন্ত্রী এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ইশতেহারে সরকারি-বেসরকারিসহ সব ধরনের অনানুষ্ঠানিক খাতের ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালুর কথা বলা হয়েছিল।

সার্বজনীন পেনশন বিষয়ক কৌশলপত্রের উপস্থাপনা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সেই নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী এর আগেই সার্বজনীন পেনশন চালুর বিষয়ে রূপরেখা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার আলোকে অর্থ বিভাগ থেকে সার্বজনীন পেনশনের কৌশলপত্রটি প্রণয়ন করে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রী সার্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের কৌশলপত্রের ওপর বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। অর্থ বিভাগকে এ সংক্রান্ত একটি আইন জরুরিভিত্তিতে প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ারও নির্দেশ দেন।

অর্থ বিভাগ থেকেও এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে সার্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার ছিল। সেটি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। এজন্য এই কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সার্বজনীন পেনশনের একটি রূপরেখা তুলে ধরেন। ওই অর্থবছর থেকেই সরকার সার্বজনীন পেনশন চালু করতে চায় বলেও জানান তিনি।

সার্বজনীন পেনশনব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরে আবদুল মুহিত বলেছিলেন, এই ব্যবস্থার আওতায় একজন কর্মজীবী প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দেবেন। তার নিয়োগকর্তা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও তার জন্য পেনশন আকারে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করবেন। তার সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি অর্থ জমা করবে সরকারও। এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সার্বজনীন পেনশন তহবিলে অর্থ জমা হতে থাকবে। জমানো সেই চাঁদা ও আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবসর সময়ে মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন। তবে, এই ব্যবস্থার জন্য যে মৌলিক কাঠামোর দরকার, তা সময়সাপেক্ষ বিষয় বলে বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আরও পড়ুন-

সার্বজনীন পেনশন শুরু হচ্ছে এ বছরই

অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গঠিত হবে সার্বজনীন পেনশন তহবিল

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

অর্থ বিভাগ পেনশন আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষাটোর্ধ্বদের জন্য পেনশন সার্বজন পেনশন স্কিম সার্বজনীন পেনশন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর