বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইউক্রেনের নাগরিকদের ঘুম ভেঙেছে নতুন এক বাস্তবতাকে সামনে রেখে। গত এক বছর ধরে সীমান্ত লক্ষাধিক সৈন্য সমাবেশের পর এদিন ইউক্রেনে পূর্ণ আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রুশ হামলার খবরে ইউক্রেনের নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবন আকস্মিক বদলে গেছে।
আগামী ৬ মে বিয়ের দিন ঠিক করে রেখেছিলেন ২১ বছর বয়সী ইয়ারিনা আরিয়েভা এবং তার সঙ্গী সভিয়াতোস্লাভ ফুরসিন। তবে বৃহস্পতিবার রুশ হামলার পর তারা নিশ্চিত নন, আদৌ ওই দিনটি পর্যন্ত তারা বেঁচে থাকবেন কি না। কেননা, দুজনেরই লক্ষ্য রণক্ষেত্রে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ। ফলে যুদ্ধের প্রথম দিন বৃহস্পতিবারই তড়িঘড়ি করে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এদিন বাইরে যখন রুশ সেনারা গোলাবারুদ ছুড়ছে, শহর জুড়ে বাজছে যুদ্ধকালীন সাইরেন—ঠিক তখন সেইন্ট মাইকেলস ক্যাথেড্রালে বিয়ে সম্পন্ন করেন এ যুগল। বিবিসির খবর।
উপস্থিত সাংবাদিকদের তারা জানান, এ অবস্থায় ইউক্রেন ছেড়ে চলে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান তারা। তাই বিয়ে শেষে চার্চ থেকে বেরিয়ে স্থানীয় নিরাপত্তা কেন্দ্রের দিকে রওয়ানা দেন তারা। সেখানে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সেনাদের সঙ্গে মিলে দেশ রক্ষার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেন এই নবদম্পতি।
আরও পড়ুন
- নতুন লৌহ যবনিকার শব্দ শোনা যাচ্ছে: জেলেনস্কি
- জেলেনস্কির পক্ষে পুতিনকে ফোন দিলেন ম্যাখোঁ
- যুদ্ধের প্রথম দিনে ইউক্রেনের ১৩৭ নাগরিকের মৃত্যু
- পুতিনকে বুঝতে হবে, ন্যাটোর হাতেও পরমাণু অস্ত্র আছে: ফ্রান্স
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায়) ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। দিনভর জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে তিন দিক থেকে ইউক্রেনের ৮০টির বেশি সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় অভিযান চালিয়েছে রুশ সেনারা। রুশ হামলার প্রথম দিনে ইউক্রেনের ১৩৭ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে মস্কো জানিয়েছে, প্রথম দিনের অভিযানে রাশিয়ার ১২ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।