কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে এফএও

ঢাকা: দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কাজ করবে। এফএও মহাপরিচালক জানান, আগামী অক্টোবরে বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করবে এফএও। সেখানে তারা অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও দাতা সংস্থাকে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে ও কৃষিখাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর করতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করবেন।

বুধবার (৯ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে এক বৈঠকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু এ কথা জানান। তিনি বলেন, এফএও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাবে এবং তাদের প্রত্যাশা— প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসাও করেন।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দরকার। আমরা বারিড পাইপ (ভূগর্ভস্থ লাইন) দিয়ে সেচব্যবস্থার উন্নয়ন করতে চাই। আমরা উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে নতুন উদ্ভাবিত ফসলের জাতের সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছি। পাহাড়ি এলাকায় উচ্চ মূল্যের ফসলের চাষ আরও বাড়াতে চাই। এছাড়া কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে ভ্যালু অ্যাড ও রফতানি করতে চাই। এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রয়োজন।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম, বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসনসহ এফএও’র ১০ সদস্যের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, ঢাকায় এফএও’র সম্মেলন চলছে। এ উপলক্ষে এফএও ডিজি বাংলাদেশে এসেছেন। এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। তারা আমাদের কারিগরি সহায়তা দেয়। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যেন কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে এফএও।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন দেশে ৫৭ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি, আগামীতে এফএও’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের আরও সম্প্রসারণ হবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ওপর পড়বে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব দেশেও দ্রব্যমূল্যের ওপর কিছুটা পড়েছে। তবে আমাদের কাছে এখন খাদ্যশস্যের সর্বোচ্চ মজুত আছে। ফসলের উৎপাদনও ভালো। তাছাড়া ১৫ এপ্রিল থেকে নতুন চাল আসবে। সবমিলিয়ে আমাদের কোনো বড় সমস্যা হওয়ার কথা না। খাদ্য সংকট, হাহাকার— এরকম কিছুই হবে না।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

এফএও এফএও ডিজি কৃষিমন্ত্রী খাদ্য ও কৃষি সংস্থা