চট্টগ্রাম ব্যুরো: যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত নাবিকের মরদেহ আগামী রোববার রাতে তার্কিশ বিমানে দেশে পৌঁছাবে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যে নাবিকের মরদেহ রোমানিয়ায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) ভোরে হাদিসুরের মরদেহবাহী গাড়ি ইউক্রেন থেকে রওনা দিয়ে রাত ৮টা নাগাদ মালদোভায় পৌঁছায়। রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা মরদেহ গ্রহণ করেন। তারা মরদেহ নিয়ে রোমানিয়ার বুখারেস্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, আজ (শুক্রবার) রাত ১২টা নাগাদ মরদেহ বুখারেস্টে পৌঁছাবে। রোববার রাত ৮টা নাগাদ তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মরদেহ ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।’
গত ২ মার্চ ইউক্রেনের স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার কিছু পরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় এই হামলায় মো. হাদিসুর রহমান নামে এক নাবিকের মৃত্যু হয়। তিনি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তার বাড়ি বরগুনা জেলা বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামে।
বাড়ি ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল হাদিসের, চলছিল প্রস্তুতি
হামলার পরদিন জাহাজের বাকি ২৮ নাবিককে অলভিয়া বন্দরের পাশে একটি বাংকারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ৬ মার্চ নাবিকদের বাংকার থেকে ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশ রোমানিয়ার বুখারেস্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের একটি হোটেলে রাখা হয়।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের পরিচালনায় থাকা ১৮০ মিটার দীর্ঘ বাল্ক ক্যারিয়ার ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ তুরস্ক থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় নোঙ্গর করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অলভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। ফলে জাহাজের ২৯ নাবিক সেখানে নোঙ্গর করা অবস্থায় জাহাজে আটকা পড়েন।
গত বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে ২৮ নাবিক ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: