Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মোমতাজ ফকির ও বদরুদ্দোজা বাদলের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৪১

ফাইল ছবি

ঢাকা: গত ১৬ ও ১৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখনো ফল ঘোষণা করা হয়নি। এরই মধ্যে সভাপতি প্রার্থী এক আইনজীবী সভাপতি পদে অপর দুই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন।

রিটে আইন সচিব, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বার কাউন্সিলের সচিব, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোশিয়েশন) নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক, সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বদরুদ্দোজা বাদল ও তানিয়া আমীরকে বিবাদী করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ।

বিজ্ঞাপন

রিটে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইন-২০১১ এর ধারা (৪) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি পদে ইউনুছ আলী আকন্দের নাম ঘোষণা করতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এছাড়া রিটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত (বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ-সাদা প্যানেল) সভাপতি পদে মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও বিএনপি সমর্থিত (জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম-নীল প্যানেল) সভাপতি পদে বদরুদ্দোজা বাদলের প্রার্থিতা বাতিলে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

রিটের দায়েরের বিষয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনী আচরণবিধি-৯ অনুযায়ী কোনো প্যানেল-প্রার্থী পরিচিতি তৈরি, প্রচার ও বিতরণ করা যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি-২০০১ অনুযায়ী ভোটারদের কোনো ধরনের খাবার দেওয়া যাবে না। দলীয় শোডাউন, মিছিল-মিটিং করা যাবে না। ভোটের দুইদিন কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘এসব বিধি লঙ্ঘন করার পর আমি সভাপতি পদে দুজনের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য গত ৩ মার্চ প্রথমে, এরপর পর্যায়ক্রমে গত ১৩, ১৫, ১৭ এবং ২০ মার্চ পাঁচটি আবেদন জমা দিলেও সেটি বিধি অনুযায়ী আমলে না নেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার আমি হাইকোর্টে রিট দায়ের করি।’

গত ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিনে ৫ হাজার ৫৯১ আইনজীবী ভোট প্রদান করেছেন। তবে সম্পাদক পদের ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে এক প্রার্থীর আবেদন এবং নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ায় ভোটের ফল প্রকাশে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস

বার অ্যাসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর