ঢাকা: যাত্রা শুরুর পর তিন বছরেরও কম সময়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে প্রায় এক লাখ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই ইনস্টিটিউটে ১০ হাজার রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আরও প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার রোগীকে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশের ষষ্ঠ আর্ন্তজাতিক সম্মেলন ‘প্লাস্টিকন-২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামসহ প্লাস্টিক সার্জনরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট গ্যাসের আগুনে পোড়া, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও এসিডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় কাজ করছে। এখানে চিকিৎসার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমও চলমান। অগ্নিদগ্ধ রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে এই ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছিল।
দগ্ধ রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সারাদেশেই ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের আটটি বিভাগে বার্ন ইনস্টিটিউট করার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো চালু হলে রাজধানীর এই ইনস্টিটিউটের ওপর চাপ কমে আসবে। তখন দেশের সব মানুষ সহজে চিকিৎসাসেবা পাবে।
তবে অগ্নিদগ্ধ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সচেতনতার বিকল্প নেই। কারণ আগুনে পোড়াসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় দগ্ধ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এ বিষয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
দেশে কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগে সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কোটি ভ্যাকসিন এসেছে। আমরা এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছি। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ৯৭-৯৮ শতাংশ ফ্রন্টলাইনাররা টিকা পেয়েছেন। যে কারণে করোনা মৃত্যুর সংখ্যা এখন শূন্যের কোঠায়। আক্রান্ত এক শতাংশেরও নিচে।
অনুষ্ঠান শেষে ইনস্টিটিউটে মুজিব কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গ্যালারি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।