হঠাৎ শিলাবৃষ্টি, ঠাকুরগাঁওয়ে তছনছ ফসলের মাঠ
১০ এপ্রিল ২০২২ ২০:৪৭
ঠাকুরগাঁও: চৈত্রের শেষ সময়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি নিরূপণে মাঠে নেমেছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জেলার পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গী ও রুহিয়া এলাকায় প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে শিলাবৃষ্টি। এর দাপটে আম, লিচু, তরমুজ, ভুট্টা, গম, ধান, জামসহ উঠতি মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, বৃষ্টিতে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও গাছপালা ও অনেক ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গিয়ে বিদ্যুৎবিছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী এলাকার মরিচ চাষি ফরিদুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন পরই মরিচ তোলার কথা ছিল তার। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে দুই বিঘা জমির মরিচ ঝরে পড়েছে। প্রতিবছর মরিচ বিক্রি করেই তিনি সংসারের সিংহভাগ খরচ বহন করে থাকেন। এবার কেমন করে সংসার চালাবেন, সেই দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরেছে তাকে।
বাগান ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম বলেন, সাড়ে তিনশ গাছের আমের গুটি ও পাতা ঝরে গেছে শিলাবৃষ্টিতে। আমি একদম পথে বসে গেলাম। এর আগে ঠাকুরগাঁও সদরের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। সে ধকল সামলাতে না সামলাতেই আবারও শিলাবৃষ্টি আমাকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। গাছে যেসব আমের গুটি আছে, তা নিয়ে আর কোনো স্বপ্ন দেখতে চাই না।
রানীশংকৈলের লেহেম্বার ভূট্টা চাষি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভুট্টার মাঠ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ভুট্টার মোচাগুলো পাথরের আঘাতে ভেঙে পড়েছে। গাছগুলো ভেঙে একেবারে শুয়ে পড়েছে। সাত বিঘা জমিতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও শৈষ চৈত্রের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য স্বীকার করে নিচ্ছে। অধিদফতরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, আকস্মিক শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পর বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।
সারাবাংলা/টিআর