ফুটপাত দখল করায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়কেও ছাড় দিলেন না শেখ হাসিনা
২৪ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪৮
ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত দখলে শুধু নয়; ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবন নির্মাণের সময়েও ফুটপাত দখল করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এই ক্ষোভের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে যুক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নকশা করার সময় সামনে খোলা জায়গা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেটি মানা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আসলে কাকে দোষ দেব? আপনারা ঢাকার রাস্তাগুলো দেখেন। একেটা মাল্টিস্টোর ভবন বানানো হচ্ছে। কিন্তু গাড়ি রাখার জায়গা করতে গিয়ে ফুটপাতগুলোর ওপর র্যাপ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি কারা করে? যারা ডিজাইন বা প্ল্যান করেন, ইঞ্জিনিয়ার-আর্কিটেক্ট যারা ভবন নির্মাণে আছেন এটি তারা করেন। আমার রাস্তার ফুটপাত দখল হয়ে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা ঢাকার যেখানে যান না কেন দেখবেন ফুটপাতে আর হাঁটার জায়গা নেই। এমনকি গুলশানেও একই অবস্থা। এত বড় বড় বিল্ডিং বড়লোকরা বানাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে— ওই ফুটপাতের ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে তারপর তাদের গাড়ি ল্যান্ডিংয়ে যেতে হচ্ছে। ফুটপাত কেন ব্যবহার হবে? ওখান থেকেও তো জায়গা কিছু ছেড়ে দেওয়া যায়? জায়গা ছেড়ে দিয়ে তো সেখানে ঢোকা যায়।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার আওয়ামী লীগ অফিসের যখন প্ল্যান করা হয় তখন আমি আর্কিটেক্টকে বলেছিলাম, আমাদের ওখানে সামনে খোলা জায়গা, উঠান থাকতে হবে। খোলা জায়গা দিয়ে গাড়ি ঢুকে এরপর ভবনের পার্কিং এলাকায় যাবে। ভবন নির্মাণ যখন শেষ হলো তখন দেখি ঠিকই ফুটপাত দখল’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বললাম, এটি মানব না, এটি ভেঙে ফেলতে হবে। ফুটপাতের জায়গা ফুটপাতকেই দিতে হবে। তাতে গাড়ি আমার আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিয়ে যাক আর না যাক কিছু আসে যাবে না। কিন্তু ফুটপাতের জায়গা ফুটপাতকে দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট যারা কিংবা যারা প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকেন তাদের বলব, আপনারা অবশ্যই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী তার কারণ তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা শুধু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন বানায় যাব আর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে জিনিস কিনব আর সেগুলি সেগুলো কাজে লাগানো যাবে না, এটি তো হয় না। কিছুটা নিজেদেরও সুরক্ষিত হতে হবে। জানতে হবে এবং সেভাবে ব্যবস্থাও রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/একে