Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজার-শপিং মলে উপচে পড়া ভিড়, রেকর্ড বেচাকেনার প্রত্যাশা

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৩

ঢাকা: করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে গেল দুই বছর ইদের আনন্দ ছিল ঘরবন্দি। কিন্তু করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় এবার সেই ইদের আনন্দ মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলতে যাচ্ছে। নাড়ির টানে ঘরবন্দি মানুষ ছুটছে গ্রামের দিকে। আর ইদকে কেন্দ্র করে তাই মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শপিং মলে প্রচুর ক্রেতা সমাগমে খুশি বিক্রেতারাও।

কোনো কোনো বিক্রেতা বলছেন, ২০১৯ সালের ইদুল ফিতরের তুলনায় এবার বিক্রি বেড়েছে ২৫ শতাংশ। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিক্রি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। কোনো কোনো বিক্রেতা বিক্রির শতাংশিক প্রবৃদ্ধি জানাতে না পারলেও বিক্রি যে বেড়েছে তা জানিয়েছেন অকপটে। আবার কোনো কোনো বিক্রেতা কেনাবেচায় সন্তুষ্ট হলেও, ২০১৯ সালের তুলনায় (পূর্বের স্বাভাবিক সময়ের ইদ) এবার বিক্রি কম বলে জানান।

তবে বেশিরভাগ বিক্রেতের প্রত্যাশা ইদের কেনাবেচায় এবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে। আর ক্রেতারাও বলছেন, এবার তারা কেনাবেচায় কোনো কার্পণ্য করছেন না। উপার্যনক্ষম ব্যক্তিরা পরিবারের সবার জন্যেই ঈদের কেনাকাটা করছেন। ইতোমধ্যে অনেকেই কেনাকাটা শেষ করে ফেলেছেন। মার্কেটে মার্কেটে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই বছর যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা যাবে না। তবে এখন পর্যন্ত বেচাকেনা ভালো। সারাদেশেই ভালো বেচাকেনা চলছে। ঢাকা কলেজ ইস্যুতে নিউ মার্কেটে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে ইদ কেন্দ্রিক ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে। এর মধ্যে ইফতার থেকে শুরু করে সেহেরি, বোনাস, কেনাবেচা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এবার এর চেয়ে বেশি কেনাবেচা হবে বলে প্রত্যশা করছি।’

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্যানুযায়ী, ইদে বাজারে অতিরিক্ত দেড় লাখ কোটি টাকা সার্কুলেশন হয়। এর প্রায় পুরোটাই ইদকেন্দ্রিক নানা খরচে ব্যয় হয়। এর মধ্যে ইদের পোশাক কেনাকাটায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতে পারে। তবে এ বছর বাজারে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত সার্কুলেশন হতে পারে বলে ধারণা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সংগঠনটি আরও বলছে, ইদের চাহিদা পূরণের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার গার্মেন্টস পণ্য আমদানি হয়। পোশাকের দোকানে যেখানে সাধারণত গড়ে প্রতিদিন ২০/২৫ হাজার টাকা বেচাকেনা হয় ইদের সময় তা বেড়ে ৭০/৮০ হাজার টাকায় দাঁড়ায়।

দেশের ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আশরাফুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবার আমরা নতুন কালেকশন নিয়ে আসছি। গত দুই বছরের তুলনায় প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। বিক্রি ভালো। আমরা চারটি নতুন আউটলেট ওপেন করেছি। ওভারঅল এবার বিজনেস ভালো হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের তুলনায় এবার ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। এবার খুবই ভালো বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি আউটলেটে প্রচুর ভিড়। আমরা আমাদের ই-কমার্স থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছি। দেশের বাইরে থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছি।’

বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে কথা হয় ইনফিনিটি’র ম্যানেজার ইনচার্জ রুহুল আমিনের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেশ ভালো। ২০১৯ সালের তুলনায় এবার প্রোডাক্ট লাইন অনেক বেশি। প্রায় ২৫ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে বলে ধারণা করছি।’

আরেক ব্রান্ড দর্জি বাড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. রিয়াজ হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, “২০১৯ সালে অনেক ভালো সেল হয়েছে। ২০২০ সালে সেল হয়নি। তবে এখন আগের তুলনায় সেল কম। যতটুকু আশা করছি সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। আগে দোকানে উপচে পড়া ভিড় ছিল। ‘কেনা লাগবেই’ মানুষের মধ্যে এমন মনোভাব ছিল। এখন আর এমন নয়। হয়তো মধ্যবিত্তের হাতে টাকা নেই। এবার ১০ রজমান পর্যন্ত কোনো সেল হয়নি। এরপর বেড়েছে। তবে তেমনভাবে বাড়ছে না।’

এদিকে, ইয়ালোর এক বিক্রিয়কর্মী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই বছর পর এবার মানুষ মুক্ত পরিবেশে ইদ করছে। এবার কেনাবেচা একটু ভালো।’ একই শপিং মলে কথা হলে জেন্টেল পার্কের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম সজল সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবার কেনাবেচনা অবশ্যই ভালো। আমাদের নতুন নতুন পোশাক এবার বেশ চলছে। সবাই মোটামুটি কিনছে। তবে ২০১৯ সালের তুলনায় এবার বিক্রি কম।’

তবে আরেক ব্রান্ড ক্যাটস আইয়ের সেলস সুপারভাইজার জনি বক্স সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনার পর ব্যবসা ভালো চলছে। ক্রেতাদের আনাগোনা খুব ভালো। ক্রেতাদের জন্যে ডিসকাউন্ট আছে। এবার তারা কিনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এবার বিক্রি বেড়েছে। এখন পর্যন্ত ভালো বিক্রি হচ্ছে।’ কিন্তু বসুন্ধরা সিটির-ই বারাত নামের একটি পাঞ্জাবিরর দোকানের মালিক রাশেদুল ইসলাম লিটন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বসুন্ধরার সিঁড়িতে অনেক মানুষ দেখা গেলেও দোকানে তেমন ক্রেতা নেই। সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। গত দুই বছরের ক্ষতি কোনোভাবেই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব না।’

এদিকে, রাজধানীর মৌচাকে ফরচুন শপিং সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। রমজানের শুরুর দিকের তুলনায় এখন ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি বেশি। ক্রেতারা এখন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত। তবে এখনও বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় অনেক বিক্রেতা। জানতে চাইলে তাজ কালেকশনের বিক্রয়কর্মী সোমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো। মানুষ এখন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছে। তাই বিক্রি ভালো হওয়াটা স্বাভাবিক।’

কিডস জোন নামের একটি দোকানের বিক্রেতা হাবিব সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুধু এই শপিংমলেই নয়, অন্যান্য শপিংমলেও মেয়েদের কাপড়ের ডিজাইন প্রায় একই। এক ডিজাইনের চালান একটাই আসছে। একবার শেষ হয়ে গেলেই শেষ, ওই ডিজাইনের কাপড় আর আসে না। নতুন ডিজাইন না আসায় বিক্রি এবার কম।’ একই এলাকার বিওয়াইজ শপিং সেন্টারের বিক্রয়কর্মী মাইনুদ্দিন বলেন, ‘১৫ রোজার পর বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে আশানুরূপ নয়। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিক্রি আরও বাড়া উচিত। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।’

এদিকে, সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট এবং আশেপাশের মার্কেটগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজান মাসের দুই তৃতীয়াংশ সময় পেরিয়ে গেলেও মার্কেটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। তবে তারা বলছেন, গতবছর লকডাউনের মাঝে ১৬ থেকে ১৭ দিন ব্যবসা করতে পারলেও বেচাবিক্রিতে ধারাবাহিক একটা প্রবাহ ছিল। এবারের বাজারে সেই ধারাবাহিকতার ব্যত্যয় দেখছেন তারা।

নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৫ রোজার পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও ওই সময়টাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের কারণে ক্রেতার সংখ্যা বাড়েনি, বরং কমেছে। এছাড়া রাস্তার ওপারে থাকা গাউসিয়া মার্কেটের সঙ্গে সংযোগস্থাপক ওভার ব্রিজটি বন্ধ থাকায় ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কমে যাওয়ার কারণগুলোর একটি বলে মনে করছেন তারা।

নিউ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় শিশুদের কাপড়ের খুচরা বিক্রেতা আবুল হোসেন। বেচাবিক্রি নিয়ে জানতে চাইলে তার মুখে শোনা গেল হতাশার কথা। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘লকডাউন চললেও গতবার টুকিটাকি বিক্রি হয়েছিল। এবার তো একদম কম। কয়েকদিন আগের মারামারির ঘটনা একদম সব মাটি করে দিয়েছে। ডেইলি সাত/আট হাজার টাকা বিক্রি করতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে এখন। অথচ এমন মৌসুমে দিনে ৩০ থেকে ৪০ হাজার হাজার টাকা বিক্রির রেকর্ডও আছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন রাস্তা পারাপারের ব্রিজটি বন্ধ করে দেওয়াই কাস্টমার অনেক কমে গেছে।’

লেডিস কাপড়ের দোকান ‘আল্লাহর দান’র বিক্রয়কর্মী মো. হৃদয় সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্রিজটা বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতি হয়েছে বেশি। সিজনে যে ব্যবসাটা করতে পারি, এবার তা ঠিক হয়ে উঠছে না। আমাদের ম্যাক্সিমাম ক্রেতা রাস্তার ওপার থেকে ওভারব্রিজ হয়ে এদিকে আসে। এটা বন্ধ করে দেওয়ায় মালিবাগ থেকে আসা কাস্টমাররা রাস্তার ওপারেই কেনাকাটা শেষ করছে। কয়দিন আগের মারামারির কারণে এবারে আমাদের ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এটা আমরা বলে বোঝাতে পারব না।’

এদিকে, নিউমার্কেটের উল্টোপাশে গ্লোব ও নুরজাহান মার্কেটের খুচরা শার্ট-প্যান্ট বিক্রেতারা জানান, ১৫ রোজার পর স্বাভাবিকভাবেই ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বেচাকেনা হয়। কিন্তু এবার তিনভাগের একভাগও হচ্ছে না। কারণ হিসেবে তারাও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনাকে দায়ী করছেন।

গ্লোব মার্কেটের দোতলায় খুচরা প্যান্ট বিক্রির দোকান ‘সেইভ অ্যান্ড সেইফ’র ম্যানেজার মো. সারওয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতবছর লকডাউনের ভেতরেও ১৬/১৭ দিন টানা ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ক্রেতার উপস্থিতির একটি ধারাবাহিকতা ছিল। কিন্তু এবার স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকার পরও মানুষজন একেবারে হালকা। ঢাকা কলেজের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের কারণে ক্রেতার সংখ্যা আরও কমে গেছে। সত্যি বলতে, সেভাবে বেচাকেনাই হচ্ছে না এবার।’

নুরজাহান মার্কেটের শার্টের দোকান ‘রঙের বাড়ি’র ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের তো সব গেল। এমনিতেই বাজার মন্দা ছিল। মারামারির ঘটনায় ব্যবসা একদম নষ্ট হয়ে গেছে। কাস্টমারের মধ্যে তো আতঙ্ক থাকবেই। তবে বেচাকেনা যে একদমই হচ্ছে না— এমনটা না। আমাদের দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। অথচ অন্যান্যবার এর পরিমাণ ছিল ৬০ থেকে হাজার টাকা।’

ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের বেশ কয়েকটি দোকানে কথা বলে জানা গেছে তাদের বিক্রি বেশ ভালো। কেনাবেচা নিয়ে তারা বেশ সন্তুষ্ট। ফুটপাতের দোকানগুলোতে এবার বেশ বিক্রি হচ্ছে। কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা জানিয়েছেন প্রায় দুই বছর পর সশরীরে ইদের কেনাকাটা করতে পেরে তারা সন্তুষ্ট। কেউ কেউ বোনাসের পুরো টাকা দিয়েই ইদ শপিং করছেন। কেউবা বেতনেও হাত দিচ্ছেন। কথা হলে ওয়াসিম সাজ্জাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরিবারের সবার কেনাকাটা শেষ হয়েছে। এবার সবার জন্য কেনাকটা করেছি। তবে গত কয়েক বছরের ‍তুলনায় কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়তি মনে হয়েছে।’

বসুন্ধরায় কেনাকাটা করতে আসা শাহীন নামের একজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভারতীয় পাঞ্জাবি এখানে তিন হাজার টাকার নিচে নেই। অথচ গতবার দুই হাজার টাকায়ও পাঞ্জাবি পাওয়া গেছে। দেশীয় ভালো ব্রান্ডের পাঞ্জাবিও দুই থেকে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে নন-ব্রান্ডের পাঞ্জাবির দাম চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।’

শাহীনবাগের একটি প্যান্টের দোকানের নিয়মিত ক্রেতা সজীব। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আগে এক হাজার টাকা করে জিনস প্যান্ট কেনা যেত এই দোকান থেকে। এখন এই দোকান থেকেই প্যান্ট ১ হাজার ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। নন-ব্রান্ড সব কাপড়ের দোকানেই এবার দাম বেশি মনে হয়েছে।’

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন সুশোভন সরকার অর্ক ও রাহাতুল ইসলাম রাফি]

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

ইদ বাজার প্রত্যাশা বেচাকেনা রেকর্ড


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর