চলতি মূলধন ঋণসীমা উন্মুক্ত করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
২৭ এপ্রিল ২০২২ ১৮:০৮
ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে উৎপাদনের জন্য কাঁচামালের উপকরণ ও পরিবহন খরচ বাড়ার ফলে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাড়তি অর্থের সরবরাহ নিশ্চিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চলতি মূলধন ঋণসীমা উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনায় চলতি মূলধনের জন্য ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঝুঁকি ও ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবসার চলতি মূলধনে বিনিয়োগের আর কেনা সীমা থাকছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন উপকরণের মূল্য বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। ফলে ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এরই মধ্যে মঞ্জুরি করা চলতি মূলধন ঋণসীমার সর্বোচ্চ ব্যবহার সত্ত্বেও চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য পরিশোধ এবং উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আমদানি-রফতানিসহ চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে- উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখা এবং আমদানি-রফতানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে এই নির্দেশনা দেওয়া হলো। এতে করে ব্যাংক কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে এরই মধ্যে মঞ্জুরিকৃত চলতি মূলধন ঋণসীমা প্রয়োজনের নিরিখে অন্তর্ব্তীকালীন সময়ের জন্য ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণঝুঁকি নিরসন করা যাবে।
পাশাপাশি গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা যাচাইপূর্বক যৌক্তিক পর্যায়ে বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/একে