চার স্তরের নিরাপত্তা জাতীয় ইদগাহে
১ মে ২০২২ ১২:২৬
ঢাকা: ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, জাতীয় ইদগাহ ময়দানে ইদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায়ে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। রাজধানীতে মসজিদ ও ইদগাহ মাঠ মিলে মোট ১ হাজার ৪৬৮ স্থানে ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কোথাও কোথাও একের অধিক জামাত হবে, আবার কোথাও একটি করে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটাতেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
রোববার (১ মে) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় ইদগাহ মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার এসব কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, জাতীয় ইদগাহ ময়দানে ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি করা হবে। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আর্চওয়ে থাকবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া বিরুপ হলে বায়তুল মোকাররমেও একই ধরনের নিরাপত্তা অবস্থা থাকবে। ছোট স্থানে কম সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া আর কোনো কিছু যেন নিয়ে আসা না হয়। কেউ নিয়ে আসলে তা গেটে আটকে দেওয়া হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ইদের জামাতে কোথাও কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। শোলাকিয়ায় যে হামলাটা হয়েছিল তা ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রিক। শোলাকিয়ায় যিনি ইমামতি করতেন তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে একটি গ্রুপ হামলা করেছিল। ওটা কোনো পূর্ণাঙ্গ জঙ্গি হামলা ছিল না।
ফাঁকা ঢাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ঢালাওভাবে বললে হবে না। যতটা বলছন ততটা চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে না। এতবড় একটি শহরে দুয়েকটি ঘটনা ঘটবেই। কারও সাধ্য নেই তা রুখে দেবার। পুলিশের পাশাপাশি জনগণেরও সচেতন হওয়া দরকার। আপনার সম্পদ ও জীবন রক্ষার দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে আপনার, এরপর রাষ্ট্রের। আপনি যদি আপনার সম্পদ অরক্ষিত রাখেন তাহলে সেটা তো বেহাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি রেললাইনে শুয়ে থেকে যদি চিন্তা করেন পুলিশ এসে উদ্ধার করবে তাহলে সেটি কি সমীচিন হবে? হবে না। একইভাবে নিজের সম্পদ ও জীবন প্রথমে নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ৫০টি থানায় আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য প্রতি রাতে দায়িত্ব পদলন করবে। ৫০০টির মতো মোবাইল টিম রাতের বেলা কাজ করবে। অনেক জায়গায় সিসিটিভি লাগানো আছে। সেন্ট্রালি মনিটরিং করা হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসএ