ইউনিট সম্মেলন নিয়ে বিতর্ক সমাধানে ১৫ দিন সময়
১০ মে ২০২২ ২১:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ইউনিট সম্মেলন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন নিয়ে অনিয়ম খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ১৫ সাংগঠনিক টিমকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২৫ মে’র মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের দফতরে টিমের আহ্বায়কদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেসব প্রতিবেদন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এর সঙ্গে জুনের শেষদিকে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া ইউনিট সম্মেলন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র থেকে ছয় সদস্যের একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে আছেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং সহ সভাপতি নঈমউদ্দিন চৌধুরী।
রিভিউ কমিটি অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ১৫ নেতার নেতৃত্বে ১৫টি সাংগঠনিক তদারক কমিটি গঠন করে। ১৫ সাংগঠনিক টিমের প্রধান হিসেবে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন- কোতোয়ালি থানায় সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর থানায় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জহুর আহমেদ, পাহাড়তলী থানায় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, ডবলমুরিং থানায় সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হালিশহর থানায় সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খুলশী থানায় যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম, পাঁচলাইশ থানায় কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, বায়েজিদ বোস্তামি থানায় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, সদরঘাট থানায় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, চকবাজার থানায় সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ইপিজেড থানায় অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম, আকবর শাহ্ থানায় সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, পতেঙ্গা থানায় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনী, চান্দগাঁও থানায় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বাকলিয়া থানায় সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী।
গত ২২ মার্চ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন চট্টগ্রামে এসে নগর কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সাংগঠনিক তদারক টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে জুনের শেষে নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং এর আগে ইউনিট সম্মেলন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবারের সভায় উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভায় কমিটির প্রধানদের ইউনিট সম্মেলন নিয়ে ওঠা বিতর্কের সমাধানে করণীয় ও প্রস্তাবনা উপস্থাপনের জন্য ২৫ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এছাড়া যেসব ইউনিটের সম্মেলন এখনও হয়নি, এই সময়ের মধ্যে সেগুলো সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জুনের শেষে সম্মেলনের প্রস্তুতিও চলবে বলে সভায় জানান নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সভায় বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি চিহ্নিত মহল বহুমুখী ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করতে হবে।’
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিদেশে হাজার কোটি টাকায় লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের ভিত্তি আলগা করতে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্যে আছে বিএনপি। আর বিএনপির ভিত্তি হলো জামায়াত। তাদের আসল খায়েস বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানো। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরের অসমাপ্ত মিশন সম্পন্ন করতে তারা আবার সামনে এসেছে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, মোহাম্মাদ হোসেন, জহুর আহমদ, জোবাইরা নার্গিস খান, জালাল উদ্দিন ইকবাল, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, জহরলাল হাজারী।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম