ঢাকা: নায়িকা পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২ জুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিলো। কিন্ত এদিন আদালতে কোন সাক্ষী হাজির না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ জুন তারিখ ধার্য করেন ।
পরীমনির পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এদিন পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আগামী ধার্য তারিখে এই বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে আদালতে পরীমনি হাজির হন।
এদিকে পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হাওলাদার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
গত ১ মার্চ মামলার বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন।
গত ৫ জানুয়ারী পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হাওলাদার। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। গত ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
গত ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট বিকাল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ১৯ আগস্ট কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপরে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন পরীমনি কারামুক্ত হন।