Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সব পণ্যের দাম বেড়েছে, ‘ব্যবহার কমানো’তে জোর

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ মে ২০২২ ১১:২১

ফাইল ছবি

ঢাকা: সম্প্রতি দাম বাড়েনি— বাজারে এমন পণ্য খোঁজে পাওয়া দুষ্কর। নিত্য ব্যবহার্য কমবেশি সব পণ্যের দাম বেড়েছে। মাসের ব্যবধানে কোনো কোনো পণ্যের দাম শতভাগ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আর বছরের ব্যবধানেও অনেক পণ্যের দামই দুই-তৃতীয়াংশ বেড়ে যাওয়ার তথ্য মিলছে।

এদিকে, আটা ও তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে হোটেল-রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন খাবারের দাম। বাড়তির দিকে রয়েছে সব ধরনের বেকারি পণ্যের দাম। দাম বেড়েছে সাবান, শ্যাম্পু, টুথ পেস্ট, প্রক্রিয়াজাত তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, মসুর ডাল, চাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চিনি, আলু, ডিমসহ প্রায় সব পণ্যের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজার চড়া থাকায় দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা সব পণ্যের দাম এখন উর্ধ্বমুখী। বাড়ছে মূল্যস্ফীতিও।

এমন পরিস্থিতিতে ‘কৃচ্ছ্রসাধন’ বা সব পণ্যের ব্যবহার কমানোতে জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশের সরকারপ্রধানও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। অর্থনীতিবিদরাও একই কথা বলছেন। বিলাসবহুল পণ্য ছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবহার কমানোর পরামর্শ এসেছে তাদের কাছ থেকে। একইসঙ্গে পণ্যের দাম যেন ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো বাড়াতে না পারে, সেজন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘মানুষের কনজাম্পশন হ্যাবিট (ভোগের প্রবণতা) কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। কিন্তু খুব সহজে এটি পরিবর্তন করা যাবে না। এই মুহূর্তে সব ধরনের পণ্যের ব্যবহারই কমানো উচিত। তবে যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে, তারা তো আর বেশি ভোগ করে না। তাদের তো মার্জিন থাকে না। দারিদ্র্যসীমার নিচে যারা আছে, তাদের এই মুহূর্তে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে হবে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাজার মনিটরিং জোরদার করা উচিত। তবে বাজার মনিটরিং করেও খুব একটা লাভবান হওয়া যাবে, তা নয়। চাল-গম-আটা— এরকম পণ্যের বাজার তো নিয়ন্ত্রিত নয়। একমাত্র সয়াবিনের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেয়। এই মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে মোটিভেট করা যেতে পারে, যেন তারা ইচ্ছামতো পণ্যের দাম না বাড়ায়।’

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা যদি কিছুটা কমানো যায়, তাহলে আমদানি ব্যয় কিছুটা হলেও কমবে। বর্তমান পরিস্থিতি অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল যারা, তাদের ক্রয়ক্ষমতা এরই মধ্যে কমে গেছে। যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে, তারা এখন সেসব পণ্য ব্যবহার কমিয়ে ফেলেছে। কিন্তু যারা স্বচ্ছল, তারা যদি একটু ব্যবহার কমিয়ে দেন, তারা যদি একটু সাশ্রয়ী হন, তাহলে এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও উপকার পাওয়া যাবে।’

বাজার নিয়ন্ত্রণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেট রয়েছে, যারা অবৈধভাবে বিভিন্ন পণ্য মজুত করেছে। বাজার ব্যবস্থায় সরকারের যে পদক্ষেপ, তা যদি এই মুহূর্তে আরও জোরদার করা যায় তাহলে কিছুটা হলেও ফল পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী বাজার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শূন্য সহিষ্ণুতার কথা বলেছেন। যারা সিন্ডেকেট করছে, অবৈধভাবে মজুত করছে, তাদের বিরুদ্ধে এখন শূন্য সহিষ্ণুতা বজায় রাখা গেলে এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হলে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

জানতে চাইলে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কম খেতে হবে। কম পরতে হবে। অপচয় করা যাবে না। তাহলে মানুষ কিছুটা হলেও বাঁচবে। এখন এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে, যার ওপর দেশের ব্যবসায়ীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আমদানি ব্যয় বাড়ায় পণ্যের দাম বেড়েছে। এই মুহূর্তে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও সবার সাশ্রয়ী হওয়া উচিত। সবাইকে আয় অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে গোলাম রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যেন কোনো পণ্যের দাম ইচ্ছামতো বাড়াতে না পারে, সেজন্য সরকারকে বাজার ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে। কেউ যেন অনৈতিকভাবে কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে সরকারকে লক্ষ রাখতে হবে।’

বাজার পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন সব ধরনের পণ্যের দামই ঊর্ধ্বমুখী। ভরা মৌসুমেও বাজারে চালের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। কমবেশি সব ধরনের চালের দাম বাজারে বেড়েছে। নাজিরশাইল চালের দাম উঠেছে ৬৮ থেকে ৭৫ টাকায়। যে মিনিকেট চাল আগে ৫৮ থেকে ৫৬ টাকায় পাওয়া যেত, এখন সেটি কিনতে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। মোটা চালের দাম ৪৫-৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেনের পর ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধ হওয়ার ঘোষণার পর বাজারে আরেক দফা বেড়েছে আটার দাম। খোলা আটার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে প্যাকেটজাত আটার দামও। স্বাদ ব্র্যান্ডের ২ কেজির আটার প্যাকেট এখন ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আগে যা বিক্রি হতো ৮২ টাকায়। এছাড়া এক কেজির প্যাকেটের দাম ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে। খোলা আটার দাম একমাস আগে ছিল ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা। দুই দফায় দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়।

টিসিবির তথ্যই বলছে, এক মাসের ব্যবধানে খোলা আটার দাম বেড়েছে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, এক বস্তা (৫০ কেজি) আটা ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ টাকায়।

রাশিয়া, ইউক্রেন ও ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধের প্রভাবে বাজারে হু হু করে বাড়ছে আটার দাম। এর প্রভাব সরাসরি পড়ছে হোটেল-রোস্তোরাঁ ও বেকারি পণ্যের ওপরও। সব রেস্তোরাঁতেই এখন পরোটার দাম বেড়েছে, কিংবা কমেছে পরোটার আকার। একইভাবে কেউ দাম বাড়িয়ে, কেউ আকারে ছোট করে বিক্রি করছে পুরি, সিঙ্গারা, পেঁয়াজুসহ বিভিন্ন খাবার। কোথাও কোথাও ডিম ভাজির দামও বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা, আগে যা বিক্রি হতো ১৫ টাকায়।

এদিকে, ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে সরকারই নতুন দর নির্ধারণ করে দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮২ টাকা থেকে ১৯৮ টাকায়। তারপরও বাজারে তেলের সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে ক্রেতাদের।

আটা-তেলের দামের প্রভাব পড়েছে বেকারি পণ্যে। এসব পণ্যের দাম আগেই ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেড়েছে। ২৫০ গ্রামের পাউরুটির প্যাকেট ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এই দাম আরও বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিক্রেতা।

ভারত থেকে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার কারণে পেঁয়াজের দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রক্রিয়াজাত তরল দুধের দামও বেড়েছে। আড়ংয়ের এক লিটার দুধ আগে ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছ ৮০ টাকায়। আড়ংয়ের হাফ লিটার দুধ কিনতে আগে ৩৮ টাকা খরচ করতে হলেও এখন গুনতে হচ্ছে ৪০ টাকা। একই অবস্থা ফার্ম ফ্রেশ নামের আরেকটি ব্র্যান্ডেরও। তবে বাজারে এখন পর্যন্ত দাম বাড়েনি মিল্ক ভিটা ব্র্যান্ডের দুধের। তবে মিল্ক ভিটা ও আড়ংয়ের টক দইয়ের দামও বেড়েছে। ৫০০ গ্রাম টক দই আগে ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

মাস ও বছরের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধির চিত্র

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, সরু চাল (নাজির/মিনিকেট) ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেও দাম একই রকম ছিল। তবে এক বছর আগে দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬৪ টাকা। সে হিসাবে এক বছরে সরু চালের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। একইভাবে মাঝারি ও মোটা চালের দাম বছরের ব্যবধানে বেড়েছে যথাক্রমে ২ ও ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

খোলা আটা এখন ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা ও এক মাস আগে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হতো আটা। মাস ব্যবধানে খোলা আটার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। বছর ব্যবধানে বেড়েছে ৪০ দশমিক ৩২ শতাংশ।

প্যাকেটজাত আটা এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে এই দাম ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা। মাসের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ, এক বছরে এর দাম ৪১ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে গেছে।

খোলা ময়দা এখন ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা, এক মাস আগে ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা। মাস ব্যবধানে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, বছর ব্যবধানে ৭৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে, মাস ব্যবধানে প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও বছর ব্যবধানে ৫২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

টিসিবির তথ্যমতে, খোলা সয়াবিন তেল এখন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ। তবে বছরের ব্যবধানে তেলের দাম বেড়েছে ৫৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এদিকে, বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। মাস ব্যবধানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ, বছর ব্যবধানে ৩৯ দশমিক ২৯ শতাংশ। বছর ব্যবধানে খোলা পাম তেলের দাম বেড়েছে ৬১ দশমিক ২৯ শতাংশ ও সুপার পাম তেলের দাম বেড়েছে ৬৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

টিসিবির তথ্যমতে, প্রকারভেদে মসুর ডাল এখন ১০৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাস ব্যবধানে মসুর ডালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ১০ শতাংশ এবং বছর ব্যবধানে ২৩ থেকে ৫৭ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজ এখন ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। মাস ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ এবং বছর ব্যবধানে বেড়েছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। মাস ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬৩ শতাংশ এবং বছর ব্যবধানে ২০ শতাংশ।

দেশি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। এক মাস আগে দাম ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মাস ব্যবধানে রসুনের দাম হয়েছে দ্বিগুণ। বছর ব্যবধানেও রসুনের দাম বেড়েছে ৪২ শতাংশ। আমদানি করা রসুনের দাম মাস ও বছর ব্যবধানে একই পরিমাণ বেড়েছে, বৃদ্ধির এই হার ২১ শতাংশ।

এদিকে টিসিবির তথ্যমতে, মাস ব্যবধানে গুঁড়া দুধের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৭ শতাংশ ও বছর ব্যবধানে ৭ থেকে ১৮ শতাংশ। চিনির দাম বেড়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং বছর ব্যবধানে ১০ শতাংশ। প্রতি হালি ডিম এখন ৩৭ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা হালিতে বিক্রি হতো ডিম। মাস ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ডিমের দাম বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

পণ্যের দাম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর