Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুয়ারে বর্ষা, জুনে সবচেয়ে বেশি ভিজবে চট্টগ্রাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২২ ২১:০৪

ঢাকা: গ্রীষ্মের খরতাপে প্রাণ এখনো ওষ্ঠাগত। দেশের বিভিন্ন স্থানে এর মধ্যেই টুকটাক বৃষ্টিপাত হলেও খরতাপ থেকে মুক্তিতে বর্ষার বর্ষণের অপেক্ষাতেই যেন মানুষ ও প্রকৃতি। বর্ষপঞ্জি বলছে, সেই বর্ষা আসতে এখনো দেরি দুই সপ্তাহ। তবে তপ্ত গ্রীষ্মে যেন কিছুটা স্বস্তির খবর দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাদের মৌসুমি বায়ু হালনাগাদ পূর্বাভাস বলছে, আর তিন-চার দিন পরই চট্টগ্রামে শুরু হবে বৃষ্টিপাত। আর সেটিই হতে যাচ্ছে এবারের বর্ষা মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি।

সাধারণত বঙ্গোপসাগরে থাকা মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ ভারত হয়ে মিয়ানমারকে স্পর্শ করে বাংলাদেশের টেকনাফ দিয়ে প্রবেশ করলেই শুরু হয় বর্ষকাল। আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ মৌসুমি বায়ু সংক্রান্ত পূর্বাভাস বলছে, সেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সমাগত। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই সেটি প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে, যা টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। অর্থাৎ বর্ষা আসছে।

এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগেই কমবেশি ঝড়-বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

রোববার (২৯ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের মৌসুমি বায়ুর হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এই সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন বলছে, জুন মাসের প্রথম দিকেই সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা কাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। এ মাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম বিভাগে— ৫৩০ থেকে ৬৪৫ মিলিমিটার, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫৮৯ মিলিমিটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬০ থেকে ৬২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে সিলেট বিভাগে। এই বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৩৪ মিলিমিটার। জুন মাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৬০ থেকে ৫১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে বরিশাল বিভাগের জন্য, সেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৮৩ মিলিমিটার।

এছাড়া, জুন মাসে ঢাকায় ৩৪০ থেকে ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক মাত্রা ৩৫৬ মিলিমিটার। ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টিপাত হতে পারে ৪১০ থেকে ৪৫০ মিলিমিটার, এই বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৩২ মিলিমিটার। রাজশাহীতে ২৯০ থেকে ৩২০ মিলিমিটার হতে পারে, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০৫ মিলিমিটার। রংপুরে ৩৭০ থেকে ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক মাত্রা ৩৮৯ মিলিমিটার। আর খুলনায় জুন মাসের জন্য ২৮০ থেকে ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৯৬ মিলিমিটার।

এদিকে, মে মাসের প্রায় পুরো সময়জুড়েই থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরেছে দেশে। পূর্বাভাস অনুযায়ী— জুন ও জুলাই মাসে প্রায় প্রতিদিনই থাকবে ঝড়-বৃষ্টি। জুনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে চট্টগ্রামে ৬৪৫ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, গতকাল শনিবার (২৮ মে) দেশের টেকনাফে সবচেয়ে বেশি ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া খুলনার কুমারখালিতে ২৪ মিলিমিটার, পটুয়াখালীর খেপুপাড়াতে ২২ মিলিমিটার, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১৭ মিলিমিটার এবং বদলগাছীতে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

আবহাওয়া অধিদফতর টপ নিউজ বর্ষা কাল মৌসুমি বায়ু


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর