সুনামগঞ্জে নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে ভাঙন
৩০ মে ২০২২ ১৫:৩৩
সুনামগঞ্জ: বন্যার পানি নামার পর নতুন ভোগান্তিতে পড়েছেন সুনামগঞ্জের নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। জেলার দুটি বড় নদীর ১৫টি জনবসতিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা বলেছেন, দেখতে দেখতে নদীর পাড় ভেঙে বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পাড় উপচে ১৭ মে থেকে সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা বন্যাকবলিত হয়। ২৫ মে থেকে পানি কমা শুরু হয়েছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে জেলা সদর, দোয়ারা বাজার, জগন্নাথপুর, দিরাই, শাল্লাসহ ৫ উপজেলায়। প্রতিদিনই নদী গ্রাস করছে বাড়ি-ঘর, দোকানপাঠ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সুনামগঞ্জ জেলা শহরের লঞ্চঘাট, জেলরোড ও শহরতলির ইব্রাহিমপুর, সদরগড়, অচিন্তপুর, ধারারগাঁও ব্রাহ্মণগাঁও নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর ও আমবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে কুশিয়ারা নদী গ্রাস করছে জগন্নাথপুর উপজেলার ফেচীর বাজার, রানীগঞ্জ বাজার ও বাঘময়না গ্রাম। শাল্লা উপজেলার ফয়জুল্লাপুর ও প্রতাপপুর এবং দিরাই উপজেলার আখিলশাহ বাজার ভাঙছে সুরমা নদীতে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা জানান, রাত হলে অনেকেই আতঙ্কে বাড়িতে থাকতে পারছেন না।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইরফানুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি কমলে প্রতিবছরই ভাঙন শুরু হয়। ভাঙন এলাকায় আমাদের নজরদারি রয়েছে। কোথাও ব্যাপকভাবে ভাঙন শুরু হলে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এএম