Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নেত্রকোনায় ভেসে গেছে ৪ হাজার পুকুরের মাছ, ৭ শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ জুন ২০২২ ১১:২৮

নেত্রকোনা: নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী দুই উপজেলায় দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার প্রায় সাত শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে চার হাজারেরও বেশি পুকুরের মাছ। নষ্ট হয়েছে বীজতলা।

সোমবার (২০ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কংশ এবং ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, দুর্গাপুর সদর, চন্ডিগড়, গাঁওগান্দিয়া ও বিরিশিরি ইউনিয়নের ৪০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানির স্রোতে অন্তত দেড় শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। কাঁচাপাকা সড়ক ভেঙে গেছে। উপজেলার ৯৫ ভাগ তলিয়ে গেছে।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাশেম জানান, লেঙ্গুরা ইউনিয়নে দুই শতাধিক বাড়িঘরসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে।

খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যা অবস্থা এমন খারাপ পর্যায়ে গেছে যে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছি। উপজেলার ৭০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। রোববার থেকে ১০৪ জন সেনাসদস্য উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কাজে সহায়তা করছেন। দুর্গত পরিবারগুলো সহায়-সম্পদ ও গবাদিপশু নিয়ে ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাদের শুকনা খাবার সরবরাহ করছি।

তিনি আরও জানান, উপজেলার বেশিরভাগ সরকারি অফিস এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনগুলো বন্যা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের নিচতলায় কোমরসমান পানি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন অফিসে ও হাসপাতাল ভবনে রাতযাপন করছেন।

বিজ্ঞাপন

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম মাজহারুল ইসলাম জানান, বারহাট্টা উপজেলার ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার্তরা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত বলেন, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করছে। সোমেশ্বরী নদীর বিজয়পুর পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার ৫৭২ সেন্টিমিটার নিচে আছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার। তবে উব্দাখালি, কংসসহ ধনু নদের পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ভারী বৃষ্টিপাত না হলে বন্যার পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাবে।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, জেলার কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালি, ধনুসহ বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এরইমধ্যে ২৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। খালিয়াজুরির ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই হাজার ২১০ জন আশ্রয় নিয়েছে।

সারাবাংলা/এএম

৪ হাজার পুকুরের মাছ কলমাকান্দা টপ নিউজ দুর্গাপুর নেত্রকোনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

বাড়তে পারে তাপমাত্রা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৪

সম্পর্কিত খবর