আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে: ওবায়দুল কাদের
২৮ জুন ২০২২ ১৯:২৩
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি অনেক কথাই বলছে, তবে শেষ পর্যন্ত তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসবে। তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমার বিশ্বাস বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। আমরাও চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আমরাও চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। সে কারণে বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বাইরে থাকবে তা আমরা চাই না। আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আওয়ামীলীগসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলেরি ইভিএম বিষয়ক এক সংলাপে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেছেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নির্বাচনে আসবে এমন আত্নবিশ্বাসের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বিএনপির অধিকার, সরকারের সুযোগ বিতরণ নয়, যে সরকার বিএনপিকে বিতরণ করবে। এটা হচ্ছে বিএনপির অধিকার।
তিনি বলেন, দল হিসাবে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে তারা নির্বাচনে আসবে। আমরা এটাই বিশ্বাস করি। আমরা বড় দল হিসাবে সবসময় বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা বলি। এমনকি আমরা পদ্মাসেতুতেও বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আমাদের পজেটিভ একটা এটিচিউট আছে। সেজন্য আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক। তারা নিজেরাই আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিবে। তারা গোলা করে জল খাবে, আর কি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা কথা সবাই বলে সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য আমি অবাক হয়ে শুনি। তিনি ( বিএনপির মহাসচিব) বলেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচনতো এই সরকারের অধীনে হবে না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার একটা কর্তৃত্বপূর্ণ স্বাধীন ভূমিকা, ফর ট্রেডিঅ্যাবল ফেয়ার অ্যান্ড ফ্রি ইলেকশন করতে যে যে সহযোগিতা ফেসিলেটিজ দরকার। তার সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাস আমরা আগেও দিয়েছি আবার দিচ্ছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।
আগামী ইদের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি সংলাপে বসবে। এই ক্ষেত্রে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য অতীতের ন্যায় এবার রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে কোনো সংলাপের আয়োজন করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু বলার এখতিয়ার নেই। নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি যেকোন উদ্যোগ নিতে পারেন। আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি সংলাপে বসছে, এটা আমাদেরকেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন। আমরা আসব এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য অত্যান্ত পরিষ্কার এবং স্পষ্ট। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবগুলো আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হোক। তবে সব আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া সম্ভব কি না সেটা দেখবে ইসি। আমরা সব আসনেই মানে ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চাই।
তিনি বলেন, রাজশাহীর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চেলের ইউনিয়নে যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে। সেখানে অংশগ্রহণ ছিল বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, সেখানে মহিলারা লম্বা লাইন ধরে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। কাজেই ইভিএম অজনপ্রিয় এখন আর এই কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। ইভিএম নিয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে এটা গণতন্ত্রের বিউটি।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবে পৃথিবীর অনান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হয়। বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার সরকার সেভাবে ফলো করবে।
আগামী নির্বাচনে নতুন কোনো আঙ্গিকে নির্বাচনকালীন সরকার হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার আইনের মাধ্যমে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এখানে একটা পজেটিভ চেঞ্জ এসেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে আর উন্নত করতে চাই। সেটা আমরা ইঙ্গিত দিয়ে গেলাম। আমরা আরও উন্নত করতে চাই।
সারাবাংলা/জিএস/এসএসএ