১২ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে হবে পশুর হাটের বর্জ্য

ঢাকা: ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ না করলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

ইজারাদাররা তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে না পারলে এমনকি তাদের জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।

শুরুতেই তিনি পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সবাইকে মাস্ক পরে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করার আহ্বান করেন তিনি। ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে একশ জন করে মোট এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছে।

পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসিতে দশটি পশুর হাটেই বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। হাটগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।’

এ সময় মেয়র বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ ও সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো ডিএনসিসির ৬টি হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বুথগুলোতে কোন চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘন্টা লেনদেন করা যাবে। সাথে সাথে একটি ডেবিট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে নগদ টাকা বহন কর‍তে হবে না।’

হাটগুলোতে পশুর চিকিৎসার জন্য একটি করে মেডিকেল টিম রয়েছে বলেও তিনি জানান।

এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, ‘পশুর হাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মশার সংখ্য বেড়ে গেছে। হাট চলাকালীন মশার ঔষুধ ছিটানো যাচ্ছে না কারণ এতে পশুর ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। হাটের কার্যক্রম শেষ হলে এই এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ঈদে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ১২ (বার) ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার সকল প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। দশ হাজার কর্মী কাজ করবে। ছয়শত যানবাহন, পচনশীল পলি ব্যাগ এবং পর্যাপ্ত পরিমান ব্লিচিং পাওডার ও স্যাভলন রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে।’

নগরভবনে একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সবাই বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কন্ট্রোল রুমের ৩টি ফোন নম্বর: ১৬১০৬, ০২-৫৫৫০৫২০৮৪, ০৯৬০-২২২২৩৩৩।

পশুর হাট পরিদর্শনে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/আরএফ/এসবি/একে

আতিকুল ইসলাম কোরবানির বর্জ্য কোরবানির হাট টপ নিউজ ডিএনসিসি