তিতুমীর কলেজকে যেভাবে ‘অপকর্মের আখড়া’ বানিয়েছিল জেকেজি
২১ জুলাই ২০২২ ০০:২৬
ঢাকা: করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার দায়ে জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ ৮ আসামিকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালে করোনার নমুনা সংগ্রহ করার কথা বলে রাজধানীর কয়েকটি স্থানের মতো সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসেও বুথ ও ক্যাম্প স্থাপন করেছিল জেকেজি। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার বদলে বরং অবাধে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে আপত্তি করায় সেই সময় কলেজের নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মচারীদের মারধরের শিকারও হতে হয়েছে।
সরকারি তিতুমীর কলেজের একাধিক কর্মচারী ওই সময়ের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, দেশি-বিদেশি মাদকের উদ্দাম পার্টি আয়োজন ছিল তাদের নিয়মিত আয়োজন। ক্যাম্পাসে রীতিমতো নৈরাজ্য চালিয়েছিলেন জেকেজি হেলথকেয়ারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি ঘোষণা করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। দ্রুতই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। সংক্রমণের তীব্রতার আশঙ্কায় ওই মার্চেই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রাবাসও খালি করে দেওয়া হয়। পরের মাস এপ্রিলেই করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য অনুমতি পায় জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বা জেকেজি হেলথকেয়ার। নমুনা পরীক্ষায় টেকনোলজিস্ট ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের জন্য তাদের সরকারি তিতুমীর কলেজে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জায়গা করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ডা. সাবরিনাসহ সব আসামির ১১ বছর করে কারাদণ্ড
শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সরকারি তিতুমীর কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই কেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি করেনি। বরং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ উদ্যোগকে স্বাগতই জানিয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সরকারি তিতুমীর কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. আশরাফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছিলাম। কারণ ভাইরাসটির কারণে তখন দেশের পরিস্থিতি মোটেও ভালো ছিল না। জেকেজিকে কলেজে বুথ স্থাপনের অনুমতি দিয়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান রাখার কথা ভেবেছি আমরা। আমরা যতটা পারি তাদের সহযোগিতা করেছি, সাধুবাদ জানিয়েছি। কিন্তু পরে যে সেই সুযোগকে এত বাজেভাবে ব্যবহার করা হবে, তা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না।’
জানা যায়, প্রথমে কলেজে অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন এবং থাকার জায়গা হিসেবে নতুন ভবন ব্যবহারের অনুমতি পায় জেকেজি হেলথকেয়ার। কিন্তু পরে অডিটোরিয়াম, কলা ভবনসহ কয়েকটি ভবনের জায়গা দখল করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। এতে কলেজ কর্তৃপক্ষ আপত্তি তুললে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিচার দেওয়ার ভয় দেখানো হতো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হতো।
সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ প্রয়োগ করত তারা। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাকে ফোন দিয়ে বলত, আমাদের এটি লাগবে, অমুক সামগ্রী লাগবে; আজকের মধ্যে যেন ব্যবস্থা হয়। আমি বলতাম, কোভিড পরিস্থিতিতে আমি এত দ্রুত সময়ে এসব কোথায় পাব? তারা তখন হুমকি দিয়ে বলত, না দিলে ভালো হবে না। এখানে বিচার দেবো, ওদের দিয়ে ব্যবস্থা নেব ইত্যাদি।’
জেকেজি নিয়ে সারাবাংলার অনুসন্ধান-
- সরকারি চাকরি করেওবেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান!
- চিকিৎসকদের পিপিই নেই, জেকেজির জন্য ‘আনলিমিটেড’
- সরকারি খরচে বেসরকারি ‘প্রতারণা’ জেকেজি হেলথকেয়ারের
- করোনা নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রতারণার জাল
- অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ধমক দিয়ে কাজ করাত জেকেজি হেলথকেয়ার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং জনসাধারণের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভয়— দুইয়ে মিলিয়ে পুরো ঢাকার মতো তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসের পরিবেশও ছিল সুনসান। যে কয়েকজন কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মী কলেজ কোয়ার্টারে থাকতেন, তাদের চলাচলেও অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন জেকেজির সদস্যরা। তারা যেসব ভবনে থাকতেন, সেখানে কাউকে যেতে দিতে চাইতেন না। নিরাপত্তাকর্মীদের প্রবেশ নিয়েও ছিল আপত্তি। এমন পরিবেশ তৈরি করে দিনের পর দিন অপরাধ কার্যক্রম চালিয়েছেন জেকেজির সদস্যরা। তবে কলেজ কোয়ার্টার যেহেতু পাশাপাশিই, ফলে তাদের কর্মকাণ্ড অজানা থাকত না কলেজের কর্মচারীদের।
কলেজের একাধিক নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মচারীরা এখনো জেকেজি’র সেসব কর্মকাণ্ডের কথা স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তারা জানান, প্রায় প্রতি রাতেই চলত দেশি-বিদেশি মাদকের পার্টি। সন্ধ্যার পর থেকেই উচ্চ শব্দে নাচ-গান চলত। ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীও থাকতেন সেসব আয়োজনে। জেকেজির সদস্যদের মধ্যে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা ভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হলেও তা মানা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিতুমীর কলেজের এক কর্মচারী বলেন, জেকেজির মেয়ে সদস্যের বাইরেও আরও অনেক মেয়েকেই দেখা যেত জেকেজি’র দলের সঙ্গে।
তিতুমীর কলেজের অফিস সহায়ক মো. শফিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশি-বিদেশি মাদকের নেশায় জেকেজি’র সদস্যরা বুঁদ হয়ে থাকতেন প্রায়ই। তাদের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। অডিটোরিয়ামে বসত মদ আর নাচের আসর। একবার এক দরকারে অডিটোরিয়ামে গিয়ে যা দেখেছি বলার মতো না। গন্ধে আমার দম বন্ধ হয়ে আসার মতো অবস্থা হয়েছিল।’
রমজান মাসেও উচ্চস্বরে গান আর মাদকের গন্ধের অভিযোগ আসতে শুরু করে তিতুমীর কলেজের পাশের ভবনগুলো থেকে। কলেজের কর্মচারীরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন জেকেজির সদস্যরা। অফিস সহায়ক নুর-মোহাম্মদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তাদের কর্মকাণ্ডে পাশের ভবনের বাসিন্দারা অভিযোগ দিচ্ছিল। আমরা তো অসহায় তখন। পরে আমরা গিয়ে বুঝিয়ে বললাম এসব না করার জন্য। তাতে রেগে গিয়ে পরদিন আমাদের বেধড়কভাবে পিটিয়েছে।’
২০২০ সালের ২ জুন মধ্যরাতে তিতুমীর কলেজের কর্মচারীদের ওপর হামলা করে জেকেজির সদস্যরা। ফাঁকা কলেজে বাঁশ, রড, চাপাতি ইত্যাদি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয় কর্মচারীদের। নিরাপত্তাপ্রহরী মো. এনায়েত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগের দিন তাদের ওসব বন্ধ করতে বললে তারা রেগে যায়। পরের রাতে আচমকা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। বাইরে থেকে লোক ও লাঠিসোটা-চাপাতি ভাড়া করে নিয়ে আসে। আমাদের যাদেরই সামনে পেয়েছে, তাকেই কুপিয়ে জখম করেছে।’
এনায়েত হোসেন বলেন, ‘তারা খুঁজে খুঁজে বের করে আমাদের পিটিয়েছে। আমি কোয়ার্টারে ছিলাম। আমার দরজা ভেঙে আমাকে বিবস্ত্র করে পিটিয়েছে। আমি হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করেছি। কিন্তু তারা কোনো কথা শোনেনি। ছেলেরা পিটিয়ে যাওয়ার পর মেয়েরা এসে আবার পেটায় আমাকে। তখন হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগও দেয়নি তারা।’
ষাটোর্ধ্ব অফিস সহায়ক সানাউল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেদিন ঘটনা ঘটে, আমি তার আগের দিনই বাড়ি থেকে আসি। আমি আমার ঘরে ছিলাম। অসুস্থও ছিলাম। যখন ঘটনা, তারা আমার দরজায় এসে লাথি দিতে থাকে। আমি বুদ্ধি করে বলি— আমি কলেজের কেউ না, আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকা এসেছি। আমার জ্বর কয়েকদিন ধরে। তারপর তারা আমাকে আর কিছু করেনি। কিন্তু ভাড়া করে লোক এনেছিল বাইরে থেকে আমাদের মারার জন্য। তারা নির্দয়ের মতো মেরেছে সবাইকে।’
হামলার পর জেকেজির সদস্যরাই আবার কলেজের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন। দাবি করেন, কলেজের কর্মচারীরাই তাদের ওপর হামলা করেছেন! কিন্তু পরে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পায় সংবাদমাধ্যমে।
এদিকে, ২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ও প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়ায় জেকেজি’র পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। সেই রাতেই সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যান জেকেজির সদস্যরা। এসময় পিপিই, স্যাম্পল কালেকশন বক্স, স্প্রে বোতল, সফট স্ক্রিপসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ফেলে যান তারা। জানা যায়, এসবের আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা। সেগুলো পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে হস্তান্তর করে সরকারি তিতুমীর কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ওই সময় উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামের মধ্যে ছিল ৩ হাজার ৪৪৬ সেট পিপিই, ৯টি স্যাম্পল কালেশকন বক্স, ১১টি স্প্রে বোতল, চারটি স্যালাইন, দু’টি মাল্টি প্লাগ, ৩ হাজার ৬০০টি সফট স্ট্রিপ, ৪৫০টি শু কাভার, ৯০০টি হেড ক্যাপ, ৪০০টি বায়োহ্যাজার্ড ব্যাগ, একটি ইলেকট্রিক কেটলি ও ৫০টি চশমা।
‘পাপের শাস্তি হয়েছে’
জালিয়াতির দায়ে জেকেজি’র ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ অন্যরা শাস্তি পেয়েছেন শুনে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের কর্মচারীরা। জেকেজির সদস্যদের হামলায় গুরুতর আহত নুর-মোহাম্মদ বলেন, ‘১১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ শুনে খুশি হয়েছি। আরও খুশি হতাম যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতো।’ এনায়েত হোসেনও বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেই খুশি হতেন।
তিতুমীর কলেজের ওই সময়কার অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘দেখুন, পাপের সাজা হয়ই। পাপ করলে যে দুনিয়াতেই সাজা হয়, তা আবার প্রমাণ হলো। আমারা ভালোর জন্য তাদের স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কর্মচারীদের নির্দয়ের মতো পিটিয়েছে, নির্যাতন করেছে। করোনায় পুরো দেশ যখন আতঙ্কিত, তারা সেই আতঙ্ককে পুঁজি করে অগ্রহযোগ্য কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। তার বিচার হয়েছে বলে তৃপ্তি লাগছে।’
তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, ‘ডা. সাবরিনাসহ অন্যদের শাস্তির রায়ে পুরো বাংলাদেশের মতো সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগও খুশি। অপরাধির শাস্তি হয়েছে। সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে তারা যা করেছে, তা ন্যাক্কারজনক। ভবিষ্যতে আর কোনো সাবরিনা যেন আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাসে এসে এমন অরাজকতা করতে না পারে, এমন ন্যাক্কারজন ঘটনা ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখব আমরা।’
কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল বলেন, ‘আমাদের তিতুমীর কলেজ ইতিহাসে অমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। তারা সেই সময় তিতুমীর কলেজের নিরীহ কর্মচারীদের পিটিয়েছিল। শুধু তাই নয়, করোনার মতো একটি বৈশ্বিক সমস্যাকে পুঁজি করে বর্বরের মতো যেসব অকল্পনীয় কার্যক্রম করেছে, তা ঘৃণ্য। আমরা সন্তুষ্ট যে তাদের সাজা হয়েছে।’
ওই সময় বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গেও বাজে আচরণ করেন জেকেজির সদস্যরা। তথ্য সংগ্রহের জন্য বুথে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, হুমকি ও হামলার ঘটনাও ঘটে। সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি নিয়মিত ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করে গেছে। কিন্তু জেকেজির সদস্যদের দ্বারা সমিতির সদস্যদের বারবারই বাধাগ্রস্ত হতে হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসটাকে পুরা বাইজিখানা বানাতে চেয়েছিল তারা। পরে সবকিছু জানার পর আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। তারা ভয়-ভীতি দেখিয়ে, বিভিন্ন মহলের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম ঘটিয়েছে। আমরা সবসময় সঠিক তথ্যটি সরবরাহ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে বারবার বাধা পেয়েছি। আমাদের সমিতির সদস্যদের ওপর হামলাও করা হয়। কিন্তু আমরা থেমে থাকিনি, তথ্যগুলো উৎঘাটন করার চেষ্টা করেছি। তারা কথা বলতে চাইত না। সবকিছু গোপন করত। তাতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। শেষ পর্যন্ত তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ড প্রকাশ হয়েছিল। তার সাজাও তারা পেল।’
সারাবাংলা/এসএইচএস/টিআর