ঢাকা: গত ১২ জুন স্থগিত হওয়া ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন ৬০ দিনের মধ্যে আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী মো. আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। ফলে নির্বাচনে আব্দুল খালেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) আব্দুল খালেকের করা রিট নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গত ২ জুন প্রার্থিতা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। এরপর আব্দুল খালেকের হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানির পর গত ৮ জুন নির্বাচনি অপরাধে লিপ্ত থাকার অভিযোগে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন।
এরপর ১৫ জুন ইভিএমের মাধ্যমে ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ১২ জুন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আব্দুল খালেক ও তার সমর্থকরা মিছিল-শোভাযাত্রা করে ১৮ মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন, যা ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
আব্দুল খালেক অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর প্রচারাভিযানে বাধা দেওয়ায় আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চাওয়ার পর তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন। একজন নির্বাচন কমিশনার গত ২৯ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে সব প্রার্থীকে নির্বাচনি আচরণ মেনে চলার বিষয়ে মৌখিক অঙ্গীকার গ্রহণ করেন। তা সত্ত্বেও আব্দুল খালেকের সমর্থকরা ১ জুন অপর প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী ও তার সমর্থকদের আক্রমণ করে আহত করেন, যা বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওতে প্রকাশ পায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন জানায়, উল্লিখিত কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর লঙ্ঘন হয়েছে। আব্দুল খালেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাই পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ৩২ অনুসারে নির্বাচন কমিশন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।