চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকার চার দশকের ব্যবধানে ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। পাহাড় কাটায় জড়িতদের তালিকায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থাও আছে বলে এতে জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম এবং চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৭৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত গত ৩২ বছরে চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের এলাকায় ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। ৯৫টি আংশিক কেটে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এরপর গত দেড় দশকে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চার দশকের ব্যবধানে ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বেশিরভাগ পাহাড় কাটা হয়েছে পাহাড়তলী, খুলশী, বায়েজিদ, লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ষোলশহর এবং ফয়সলেকে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে জঙ্গল সলিমপুর এবং আলীনগরে ২০০০ সাল থেকে গত ২২ বছরে অর্ধশতাধিক পাহাড় সংঘবদ্ধভাবে নিধন করা হয়েছে। এখানে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় ছিল ৩ হাজার ১০০ একর। গত ২৪ বছরে ৪০ থেকে ৫০ জনের চিহ্নিত ভূমিদস্যু বাহিনী সেখানে পাহাড় কেটে আলাদা সাম্রাজ্য তৈরি করেছে। জেলা প্রশাসন সেখানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কারাগার, ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জেলা প্রশাসনের ঘোষণা বাস্তবায়নে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ এবং ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের উপদেষ্টা সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর ও হালদা গবেষক অধ্যাপক মঞ্জরুল কিবরিয়া, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, পরিবেশ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহেল ও অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম পেয়ার আলী উপস্থিত ছিলেন।