‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই’
৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:০৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের ‘দৃশ্যমান কোনো অর্জন’ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সফরে বাংলাদেশের অর্জন এখন পর্যন্ত ৫৩ কিউসেক পানি কুশয়িারা নদীর পানি। এছাড়া আমরা দৃশ্যমান কোনো অর্জন দেখতে পাইনি। বরঞ্চ যেটা দেখতে পারছি যে, ৫‘শ মিলিয়ন ডলারের একটা প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে যানবাহন কেনার জন্য ভারতের কাছ থেকে। আর বলা হয়েছে যে, সীমান্তে হত্যা জিরোতে আনা হবে। যেদিন এই কথা বলা হয়েছে সেদিনই দিনাজপুরের সীমান্তে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, আর দুই জন নিখোঁজ হয়েছে- এই হচ্ছে প্রাপ্তি। আমাদের দৃশ্যমান প্রাপ্তি আমরা এগুলো দেখি।’
‘অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর কথা বলা হচ্ছে। তাদের ভালোবাসা-প্রেম নিজেদের মধ্যে— সেগুলোর কথাগুলো খুব জোরেজোরে বলা হচ্ছে— সেটাই আমরা বুঝতে পেরেছি’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘তিনি ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগ সরকারকে যেকোনো উপায়ে টিকিয়ে রাখার জন্য।’
আমরা সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং এটা বিশ্বাস করি যে গণতান্ত্রিক বিশ্ব সবসময় বিশ্বের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য, জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিতা করবার জন্য তাদের ভূমিকা অক্ষুণ্ন রাখবে। ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ, গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা বিশ্বাস করি, ভারতও তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখবে।’
সরকার আবারও রেইন অব ট্রেরর শুরু করেছে অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তায় আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। ঠিক আগের মতো যেটাকে আমরা বলেছিলাম যে, গায়েবি মামলা, সেই গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দলের তিনজন নেতা নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অনেকের চোখ চলে গেছে, কারও মাথা ফাঁক হয়ে গেছে। সারাদেশে এখন আবার ‘রেইন অব ট্রেরব’ সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু করেছে। আমি বলতে চাই, সন্ত্রাস দিয়ে কখনো টিকে থাকা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী এবং সেতুমন্ত্রী তারা তো বলতে শুরু করেছেন যে, আমরা সভা-মিছিল এগুলোতে বাঁধা দেব না। কিন্তু বিএনপি যদি সন্ত্রাসী কাজ করে…।’
‘বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাস করেও না। এখন পর্যন্ত মিডিয়াতে কোথাও কোনো সন্ত্রাসের চিত্র আসেনি। সন্ত্রাসের চিত্র যা এসেছে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের চিত্র এসেছে। ছাত্রলীগ-যুব লীগের সন্ত্রাসীরা চড়াও হয়েছে গণতন্ত্রকামী মানুষের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপরে। আমরা জনগণের শক্তি দিয়ে এদেরকে পরাজিত করব।’
এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নাজমুননাহার বেবী, নেওয়াজ হালিমা আরলী, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনএস