অবসরের ৬ মাসের মধ্যে শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে নীতিমালা করতে রুল
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:০৮
ঢাকা: এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরের ছয় মাসের মধ্যে তাদের সব পাওনা পরিশোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ছয় শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ টাকা কর্তনের বিপরীতে বাড়তি আর্থিক সুবিধা কেন প্রদান করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর পক্ষে দায়ের করা এক রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ আগস্ট এ আদেশ দেন। আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) ওই রুলের লিখিত অনুলিপি হাতে পেয়ে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীগণের বেতন থেকে বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ ও বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর আলোকে বেতন থেকে অবসরের জন্য ছয় শতাংশ টাকা কর্তন করা হতো। কর্তনকৃত অর্থ থেকে অবসরের পর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো।
‘তবে ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসআরও নম্বর ৮৪ এবং এসআরও নম্বর ৮৯ জারি করে এর মাধ্যমে ওই কর্তনকৃত ছয় শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে যা ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ছয় শতাংশের পরিবর্তে বর্ধিত হারে ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত চার শতাংশ বর্ধিত কর্তনের জন্য কোনো প্রাপ্য অতিরিক্ত সুবিধা অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
‘একই সঙ্গে এই কর্তনকৃত ১০ শতাংশ অবসরের পর অনেক সময় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীগণ তাদের জমাকৃত অবসর সুবিধা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ কর্তক করা হচ্ছে কিন্তু তাদের অবসরকালীন সুবিধা পুর্বের ছয় শতাংশ হারে পরিশোধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া অবসরের পর শিক্ষক-কর্মচারীদের পাওনাদি পেতে কয়েকবছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য পাওনা ছয় মাসে পরিশোধের জন্য নীতিমালা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে