পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:০৭
পঞ্চগড়: বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় ও স্বজনদের দাবি, এখনো প্রায় ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। সকালে নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে ওই মরদেহগুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
জানা গেছে, লাশগুলো করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাট, দেবীগঞ্জ উপজেলার করতোয়া ব্রিজ ও দিনাজপুর খানসামা সেতুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ-পরিচালক শেখ মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘পঞ্চগড়সহ আশেপাশের জেলাগুলোর ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।’
এর আগে, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটের কাছে শতাধিক যাত্রী নিয়ে করতোয়া নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকায় থাকা যাত্রীরা মহালয়া পূজা উপলক্ষে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। ওইদিনই ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী জানান, হিন্দু সনাতন ধর্ম আনুসারে শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্ন শুরু দেবাীপক্ষের আগমন বার্তায় মহালয়া উপলক্ষে বোদা উপজেলার বড়শ্বশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দির আয়োজনে করা হয়। এটি পূজার বড়ধরনের একটি আনুষ্ঠিকতা। এদিন ভোর ৬টায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার মানুষ অংশ নিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত করতোয়া নদীতে নৌকায় আসা-যাওয়া করছিলেন।
তিনি আরও জানান, ওই নৌকায় ৯০ থেকে ১০০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি বড়শ্বশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। ঘাট থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর নৌকাটি দুলতে থাকে। এ সময় মাঝি নৌকাটি ঘাটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও সেটি ডুবে যায়।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতদের সৎকার এবং দাফন কার্যক্রমে প্রত্যেককে পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মৃত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ করে টাকা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
সারাবাংলা/ইআ