ছাত্রীদের গোপন ভিডিও: আশা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার বহিষ্কার
২৭ অক্টোবর ২০২২ ২৩:০৮
ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে ছাত্রীদের নগ্ন ভিডিও ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগে আশা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আশরাফুল হক চৌধুরী ওরফে তানভীর চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গতকাল বুধবার (২৬অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেওয়া এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
ইউজিসির ওই আদেশের পরই আশা ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা শায়লা আফরিনের সই করা এক জরুরি নোটিশে রেজিস্ট্রার সব কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে, গত ২০ মে আশা ইউনিভার্সিটিতে গোপনে ছাত্রীদের ভিডিওধারণ, অধরা রেজিস্ট্রার শিরোনামে সারাবাংলা ডটনেটে সংবাদ প্রকাশ হয়।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আশা ইউনিভার্সিটির বাথরুমে মাসের পর মাস গোপনে ছাত্রীদের ভিডিওধারণ করা হয়েছে। সেই ভিডিও দেখিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে ডেকে ছাত্রীদের দেওয়া হয় নানা অশোভন প্রস্তাব।
প্রস্তাবে রাজি না হলে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আশরাফুল হক চৌধুরী ওরফে তানভীর চৌধুরী ছাত্রীদের মানসিকভাবে নাজেহাল করেছেন, হুমকি দিয়েছেন। এমনকি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিতেও গড়িমসি করেছেন। এতকিছুর পরও তিনি রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ পদে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউজিসির জনবল প্রশাসন বিভাগের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ছাত্রীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করার মতো গুরুতর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। আমরা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টিকে চিঠি দিয়ে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিই।’
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট কমিটি আছে। যেটির প্রধান আমি নিজেই। আমরা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী রোববার (৩০ অক্টোবর) ঘটনা তদন্ত করে দেখব। ওইদিন আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকেও থাকতে বলেছি। আমরা তদন্ত করার পর রিপোর্ট জমা দেব। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/একে