সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল সংসদে উত্থাপন
৩১ অক্টোবর ২০২২ ২০:৪১
ঢাকা: সামরিক সরকারের আমলে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত দি গভর্মেন্ট প্রাইমারি স্কুল টিচার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫ রহিত করে বাংলা ভাষায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২২ বিলটি গতকাল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে শিক্ষক ও তাদের পোষ্যদের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে আর্থিক সহায়তা, সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় উপবৃত্তি প্রদান, পোষ্যদের কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহায়তা, মৃতদেহ পরিবহনে যৌক্তিক খরচ প্রদান এবং আকস্মিক/প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার মো. শামছুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদের ২০তম অধিবেশনের দ্বিতীয়দিনের বৈঠকে গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বিলটি উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে যদি ওই শিক্ষকের অপ্রাপ্তবয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা তৃতীয় লিঙ্গের সন্তান থাকে, তা হলে উক্ত সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের তহবিল থেকে দেওয়া হবে।
বিলে তিন বছর মেয়াদের জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ভাইস চেয়ারম্যান ও অধিদফতরের উপ-পরিচালক ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ-এর দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া কমিটিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগসহ প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন করে এবং ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকা থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সামরিক সরকারের আমলে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত একটি অধ্যাদেশ। এ অধ্যাদেশের আওতায় দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও তাদের পোষ্যদের কল্যাণে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
সে পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নার্থে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উক্ত অর্ডিন্যান্স-এর কতিপয় ধারা সংশোধন ও পরিমার্জনপূর্বক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ আইন যুগোপযোগী ও হালনাগাদ করে নতুনভাবে বাংলা ভাষায় বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে