Saturday 12 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিষাক্ত ওষুধ মেশানো ভেজাল খাদ্য দিয়ে ভরে গেছে দেশ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩৭ | আপডেট: ১ নভেম্বর ২০২২ ২০:২৯

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিষাক্ত ওষুধ মেশানো ভেজাল খাদ্য দিয়ে ভরে গেছে দেশ। যে খাবারগুলোই আমরা খাচ্ছি তার সবই প্রায় ভেজাল মেশানো। প্রায় সব খাদ্যেই মেশানো হচ্ছে বিষ। এসব ভেজাল বিষাক্ত খাদ্যের কারণে মানুষের দেশে ক্যান্সার, কিডনিসহ বড় বড় জটিল রোগগুলো দ্বিগুণ হারে বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন হোটেলে ভেজাল খাবার, দোকানে ভেজাল খাবার, বাজারে ভেজাল খাবারসহ সর্বত্র ভেজাল খাবার দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী? এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না। ভেজাল খাবারের কারণেই দেশে ওষুধের ব্যবসা এত বেড়ে গেছে, হাসপাতালে-হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে একটি মত বিনিময় সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘চাল, ডাল, মশলা, মাছ থেকে শুরু করে শাকসবজিসহ প্রায় সব খাদ্যেই বিষ মেশানো হচ্ছে। সেই বিষ মেশানো খাবারগুলো আমরা নিজেরা খাচ্ছি। আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই খাচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষের দেহে ক্যান্সার, কিডনী সহ বড় বড় জটিল রোগগুলো এখন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ভেজাল খাবারের কারণেই দেশে ওষুধের ব্যবসা এত বেড়ে গেছে। হাসপাতালে-হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীদের এখন জায়গা হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে আর যাই হোক খাদ্যে বিষ মেশালে সেই কোম্পানি যত ক্ষমতাধরই হোক কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। আমাদের দেশে এখন হোটেলে ভেজাল খাবার, দোকানে ভেজাল খাবার, বাজারে ভেজাল খাবারসহ সর্বোত্র ভেজাল খাবার দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী? এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না।’

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে হলে এই ভেজাল কারবারিদের এখনই থামিয়ে দিতে হবে। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এটি করতে আমাদের স্বাস্থ্যখাতের ভুমিকা আরও জোড়ালো করার পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সেটি নিয়ে পড়ে থাকলে এই ভেজাল আর বন্ধ হবে না। ভেজাল প্রতিরোধ করা ও নিয়ন্ত্রণ করা অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে, কিন্তু চিকিৎসা’তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই দিতে হবে। কাজেই আগামী এক মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টিম গঠন করে মাঠে নেমে যেতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আমরা বসে খুব দ্রুত এর সমাধান করব।’

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সবার কথা শোনেন। পরবর্তীতে সবাইকে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কি কি ভুমিকা রাখতে হবে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেন।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদিসহ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্তরের পদস্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/ইআ

ভেজাল খাদ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

বিজ্ঞাপন

ছবির গল্প মার্চ ফর গাজা
১২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর