শব্দদূষণ পরিমাপে ২৩০টি সাউন্ড লেভেল মিটার বিতরণ করা হয়েছে
২ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৪৬
ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণ মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারে সরকার থেকে তিনটি সংস্থার কাছে ২৩০টি সাউন্ড লেভেল মিটার বিতরণ করা হয়েছে। সংস্থা তিনটি হচ্ছে— বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদফতর ও এর বিভিন্ন কার্যালয় রয়েছে।
বুধবার (২ নভেম্বর) টেবিলে উত্থাপিত সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বেগম লুৎফুন নেসা খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন বিকেল সাড়ে চারটায় শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘শব্দদূষণ পরিবেশ এবং জনস্বাস্থের জন্য একটি মারাত্বক পরিবেশগত সমস্যা। তাই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকাকে নীরব এলাকা, আবাসিক এলাকা, মিশ্র এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা এবং শিল্প এলাকা ৫ শ্রেণিতে ভাগ করে শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করেন দেওয়া হয়েছে। একই পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ জারি করা হয়েছে। কিন্তু শব্দদূষণ ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে মানুষ হরহামেশাই দূষণকারী উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এছাড়া ৬৪ জেলায় ২ হাজার অংশীজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া ও শব্দমাত্রা রেকর্ডসংক্রান্ত জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনকল্পে গৃহস্থালী বর্জ্য ও প্লাস্টিক বর্জ্যের সুষ্ঠ ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করেছে। এই বিধিমালায় পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার বন্ধে স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি জানান, আইন অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পণ্যের উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ বা সীমিতকরণের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদফতরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ঢাকা-৪ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার লিখিত প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যা মানব সভ্যতার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে খুব দ্রুত ও ব্যাপক পদক্ষেপ না নিলে আগামী দশকের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, শিল্প-বিপ্লব সময়ের আগের তুলনায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছড়িয়ে যাবে। যা ২১০০ সাল নাগাদ ৩.৩ থেকে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে।’
এর ফলে দিন দিন আবহাওয়া আরও বিরূপ আচরণ করবে, সামুদ্রিক ঝড় বেশি হবে, জলোচ্ছ্বাস বাড়বে, সাগর পৃষ্ঠের উচ্চতা ১ দশমিক ১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম