ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জনগণ সহযোগিতা না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ জন্য সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ‘নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ শিরোনামে ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন আতিকুল ইসলাম।
মেয়র আতিক বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতায় মাত্র ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি। অতএব জনগণ চাইলে ডেঙ্গুও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। জনগণ সহযোগিতা না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ছাদ বাগানকে আমরা উৎসাহিত করছি। কিন্তু নিয়ম মেনে করতে হবে। ছাদ বাগানে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি পরিচালনা করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমরা দুটি ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। লার্ভা পেলে কোন ছাড় নয়। অভিযান চলমান থাকবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, সবাইকে জানাতে হবে ড্রেন বা নর্দমার পানিতে কিন্তু এডিস মশার জন্ম হয় না। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। জমে থাকা স্বচ্ছ পানি ফেলে দিন। শিশুদেরকেও এ বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ডিএনসিসি মেয়র কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। এ সময় দুটি নির্মাণাধীন ভবনে অসংখ্য লার্ভা পাওয়া যায়। মেয়রের উপস্থিতিতে অঞ্চল ০৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুটি ভবনকে মোট ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) থেকে ভবিষ্যতে এই ভবনে লার্ভা জন্মাতে দেওয়া হবে না পরিপ্রেক্ষিতে অঙ্গীকারনামা জমা না দেওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে বলেও জানান ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন।