Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আদালতের ভুয়া আদেশ তৈরি, হানিফ পরিবহনের এমডিসহ ৪ জনকে তলব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ নভেম্বর ২০২২ ০৮:০৮

ঢাকা: উচ্চ আদালতের আদেশ অনুকরণ করে ভুয়া আদেশ তৈরির মাধ্যমে জালিয়াতি করার অভিযোগে চারজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪ নভেম্বর চারজনকে হাজির হতে বলা হয়েছে। তারা হলেন— হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল ইসলাম, প্যাটেন্ট-ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার।

একইসঙ্গে জাল আদেশ তৈরির সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্তের জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জানা যায়, হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হলেন মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। আর হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি হলেন আনিসুল ইসলাম। পরিবহন ব্যবসায় জড়িত এই দুই কোম্পানি ‘হানিফ’ ট্রেডমার্ক ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এই ‘হানিফ’র ট্রেডমার্ক নং: ১৭৪৬৭। কিন্তু গত ২৩ অক্টোবর বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের দুই বিচারপতির নাম উল্লেখ করে একটি জাল আদেশ প্রস্তুত করা হয়। ওই জাল আদেশের রিট আবেদনের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে ১৫৩২১/২০২২। রিট আবেদনকারী হলেন হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেড। বিবাদী হিসাবে বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি আনিসুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আদেশে ওই বেঞ্চের সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা বেশ কয়েক বছর আগেই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া আদেশে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির নামের বানানও ভুল লেখা হয়েছে।

জাল আদেশে বলা হয়, হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেড যেন ‘হানিফ’ ট্রেডমার্ক তার পরিবহনে ব্যবহার করতে না পারে সেই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। গত ১৬ অক্টোবর হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেডের করা আবেদনটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে জাল আদেশে।

জাল আদেশের একটি ফটোকপি ওই বেঞ্চের বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামানের কাছে আসে। এরপরই জালিয়াতির বিষয়টি বেঞ্চের নজরে আনেন তিনি।

ওই জাল আদেশের কপি দেখে বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। তখন আদালত বলেন, মামলার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ জাল আদেশ সৃজন করা হয়েছে। এটা বড় ধরনের প্রতারণা। এ ধরনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বিনষ্ট হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস

ভুয়া আদেশ তৈরি হানিফ পরিবহন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর