এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ
২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩৫
ঢাকা: এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষার্থী। যা শতকরা ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে এবার জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। যা গত বছরের চেয়ে ৮৬ হাজার ২৬২ জন বেশি।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘টানা দুই বছর করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার কারণে জিপিএ ৫ এর সংখ্যাও বেড়েছে।’
সোমবার (২৮) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেওয়ার পর রাজধানীর আন্তর্জাতিক ইনস্টিউটে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন। গত বছর ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। এবার পাসের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন, যা গত বছর ছিলো ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন, গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে কোভিড-১৯ জনিত বৈশ্বিক মহামারির কারণে যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সিলেটসহ সারাদেশে বন্যার কারণে পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে হয়। পরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৫৮ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়।’
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘এবার সকল শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রদের মধ্যে ৩ হাজার ৫২৭ জন ছাত্রী বেশি উত্তীর্ণ হয়েছে। ছাত্রের চেয়ে ২৭ হাজার ২৯০ জন বেশি জন ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৬২ হাজার ৮১ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ন হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ২৮ হাজার ৮৪৫ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ পেয়েছে। এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ৬০৪টি। কেন্দ্র বেড়েছে ১১০টি।’
এদিকে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৫টি। গত বছর ছিল ৫ হাজার ৪৯৪ টি। গত বছর শূন্য পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৮ টি ছিল, এবার সে সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫০ টিতে।
শিক্ষামন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়নি বলে এবার শুন্য পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। এটা খতিয়ে দেখা হবে। আমরা ঘাটতিগুলো খুঁজে বের করে সকলকে তুলে নিয়ে আসতে চাই। একটা প্রতিষ্ঠানও পেছনে পরে থাক সেটা আমরা চাই না।’
পরীক্ষার ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যেমন বিনামূল্যে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া, টেলিভিশনে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠদান প্রচার, শিক্ষার উপকরণ হিসেবে তথ্য প্রচার, শিক্ষার উপকরণ হিসেবে তথ্য প্রযুক্তির ব্যপক ব্যবহার ও সুষ্ঠু শান্তিপূর্নভাবে পরীক্ষা পরিচালনা।’
এ ছাড়া যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি তাদেরকে হতাশ না হতে পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ