৭১টি স্কুলের ২ কোটা টাকা আত্মসাৎ, তদন্ত কমিটির কাজ শুরু
৩০ নভেম্বর ২০২২ ১১:৪৬
মোংলা (বাগেরহাট): শিক্ষক, প্রকৌশলী ও শিক্ষা কর্মকর্তা মিলে মোংলা উপজেলায় ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্ধ হওয়া প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। এই তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন মাগুরার জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বাবুল আখতার।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সরেজমিনে কয়েকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে খরচের ব্যয় সংক্রান্ত নথিপত্র ও যাবতীয় কাজ দেখেন তদন্ত কমিটির প্রধান বাবুল আখতার ও সদস্য আবদুর রব। তদন্ত কাজ শুরুতে কমিটির কর্মকর্তারা পৌর শহরের খানজাহান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে খরচের ভাউচারের সঙ্গে কাজের মিল না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আরও কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন করে নানা অসংগতি ধরা পড়ে কমিটির কাছে।
এ বিষয়ে বাবুল আখতার বলেন, ‘বিভাগীয় উপপরিচালক খুলনার নির্দেশনা পেয়ে সরকারি বরাদ্ধ ব্যয়ে অনিয়মে তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের কাছে যেসব অনিয়ম ধরা পড়বে তা লিখত আকারে অধিদফতরে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে অধিদফতর পর্যলোচনা করে ব্যবস্থা নেবে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, গগ ২০২০-২১ অর্থবছরে মোংলা উপজেলার ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংস্কার, ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয় ও শ্লিপের মাধ্যমে মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্ধ হয় প্রায় ২ কোটি টাকারও বেশি। সংস্কার কাজ শেষ দেখিয়ে বরাদ্ধের ওইসব অর্থ উত্তোলন করা হয় চলতি বছরের জুনে। আর উত্তোলনকৃত টাকা কাজে ব্যবহার হওয়ার প্রত্যয়ন পত্রপ্রদান করেন উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী লাবিব হোসেন।
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে লাবিব হোসেন বলেন, ‘আমার সই জাল করে ওইসব প্রত্যয়নপত্র তৈরি করা হয়েছে। আমি কোনো প্রত্যায়নপত্র দেইনি।’
বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। যা নজরে আসলে মাগুরার জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বাবুল আখতারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা অধিদফতর।
সারাবাংলা/এনএস