নায়করাজ রাজ্জাকের নামাঙ্কিত অ্যাওয়ার্ড পেলেন আলমগীর
২ মে ২০১৮ ১০:৪০
।। কলকাতা প্রতিনিধি ।।
পশ্চিমবঙ্গের বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের প্রয়াত সুপার স্টার নায়করাজ রাজ্জাকের নামের ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভম্যান্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করেছে। আর নায়করাজের নামে প্রথম এই পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের আরেক জনপ্রিয় চিত্র-অভিনেতা আলমগীর হোসেন।
মঙ্গলবার (১ মে) রাতে কলকাতায় আলমগীরের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। আলমগীর ছাড়াও অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র নির্মাতা বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সাংবাদিক ড. সোমা এ চ্যার্টাজি এবং চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান ভেঙ্কাটেশ মুভিজও অন্য বিভাগের আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করেন।
নায়করাজ রাজ্জাক ’লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ড নিতে মঞ্চে উঠেন অভিনেতা আলমগীর। প্রখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন ও শিল্পপতি সঞ্জয় বুধিয়া তাকে এই সম্মনা তুলে দেন। বাংলাদেশের বর্ষীয়ান চিত্র-নায়ক আলমগীর এই সম্মনায় পাওয়ায় খুশি পশ্চিমবঙ্গের তারকারাও।
আলমগীর বলেন, রাজ্জাকের নামের এই পুরস্কার আমাকে গর্বিত করেছে। আর এই একই মঞ্চে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কেও সম্মাননা দেয়া হলো। এটাও আমার জন্য বড় পাওয়া। নায়করাজ রাজ্জাকের এই পুরস্কারটি আমি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ হিসাবে বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছি। গত ৪৬ বছর আমি অভিনয় করার চেষ্টা করছি, এখনও করে যাচ্ছি। এত বছর পরে এসে আমি বুঝতে পেরেছি যে অভিনয়ের বিশালতা সেটা এক জনমে নয়, শত জনম চেষ্টা করলেও তার বিশালতা খুঁজে শেষ করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে বি.এন.সরকার অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পেয়েছে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড, সংস্থার হয়ে পুরস্কার নিয়েছেন প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহতা। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। দেবকী কুমার বোস পুরস্কার পান বুদ্ধবে দাশগুপ্ত। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এদিন মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেন নি। অন্যদিকে কৈলাশ মুখার্জি অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে সাংবাদিক ড. সোমা এ.চ্যাটার্জিকে।
এদিন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অভিনেত্রি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানান ‘রাজ্জাক সাহেব নামাঙ্কিত যে পুরস্কারটি আলমগীর সাহেব পেয়েছেন সেটা সত্যিই এক অসাধারণ ব্যাপার। কারণ আমি তাকে মানুষ হিসেবে খুবই সম্মান করি। উনি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, ডিরেক্টর, লেখক পাশাপাশি উনি একজন বড় মাপের শিল্পপতি। উনার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব।’
অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান ‘আলমগীর সাহেবের পুরস্কার পাওয়াটা খুবই ভাল লেগেছে, তবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে রাজ্জাক সাহেবের নামে এই পুরস্কারটি দেওয়া হল। রাজ্জাক সাহেবের সাথে আমার একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল, আমরা একসাথে অনেক কাজ করেছি। এপার বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন উত্তম কুমার তেমনি রাজ্জাক সাহেব হলেন বাংলাদেশের মহানায়ক’। পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সারাবাংলা/এমএইচ